কয়েক লাখ টাকা জরিমানা আদায়

আদমদীঘিতে বেপরোয়া মাটি দস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত

  মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম (উজ্জল)

প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:১৭ |  আপডেট  : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫১

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় এক শ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী নামের মাটি দস্যুরা বেপরোয়া ভাবে চালাচ্ছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বাণিজ্য। উপজেলা প্রশাসন ৪০দিনের ব্যবধানে ১১ বার ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে লাখ লাখ টাকার আর্থিক দন্ড দিয়েছে। কিন্তু এরপরও থামানো যাচ্ছে না মাটি দস্যুদের। তারা প্রশাসনকে চোখে ধুলোদিয়ে রাতের আধারে চালাচ্ছে মাটি দস্যুতা। মাছ চাষের পুকুর খননের অজুহাতে এক স্থানের ফসলি জমি খনন করে সেই মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে আরেক স্থানের ফসলি জমি। এতে করে দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার বর্তমান নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার যোগদান করার পর ১৯ ডিসেম্বর/২২ থেকে ২৮ জানুয়ারি/২৩ পর্যন্ত উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার বশিপুর, তারাপুর, চাঁপাপুর ইউনিয়নের বিহিগ্রাম, ছাতিয়ানগ্রামের ইউনিয়নের ছাতিয়াগ্রাম সদর, ছোট আখড়া, নিমাইদীঘি, বাগবাড়ি, কোমারপুর, নসরতপুর ইউনিয়নের পুশিন্দা ও মুরইল এবং আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের কুসুম্বি (কদমগাড়ি) নামক স্থানে ফসলি জমিতে মাটি ব্যবসায়ীদের পুকুর খনন এবং চাঁপাপুর ইউনিয়নে অবৈধ বালু মহালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মাটি খননের কাজে ব্যবহার করা সাত ভেকু মেশিন ও মাটি বহন করে ওই সব এলাকার সড়ক নষ্ট করার দায়ে আটক করা হয় ৪৭টি ট্রাক্টর। 

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার দায়ীদের বিরুদ্ধে আর্থিক দন্ডের রায় দিয়ে আদায় করেছেন পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এভাবে একর পর এক আর্থিক দন্ড দেওয়ার পরও থেমে নেই মাটি দস্যুদের পুকুর খননের অবৈধ কারবার। তবে প্রশাসন অবৈধ ভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন কার্যক্রমের খবর পেলেই অভিযান পরিচালনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনিক তৎপরতার কারনে বেপরোয়া মাটি দস্যুরা দিনের বেলা তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখলেও রাতের আধারে তারা খনন কাজ করে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত