খামার জগতে বিস্ময়কর নাম ডাচ ডেইরী লিমিটেড  

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৭ জুলাই ২০২১, ১১:৫২ |  আপডেট  : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাওয়া চৌরাস্তা থেকে একটি রাস্তা চলে গেছে বামদিকে। মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া-লৌহজং সড়কটি একটি আঞ্চলিক সড়ক। দু’পাশে বৃক্ষরাজি সমৃদ্ধ সবুজ-শ্যামল গ্রাম। একটু সামনে গেলেই কুমারভোগের চন্দ্রেরবাড়ি বাজার। এরপর শিমুলিয়াঘাটে যাবার রাস্তা ডানদিকে। ওই রাস্তাকে পাশ কাটিয়ে সড়কটি সাতঘড়িয়া গ্রাম, হলদিয়া বাজার, কনকসারের ওপর দিয়ে চলে গেছে লৌহজং উপজেলা সদরে। এই আঞ্চলিক সড়কের সাতঘড়িয়ায় একেবারে সড়কের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে বেশ বড় একটি স্থাপনা। বেশ খানিকটা দূর থেকেই নীল রংয়ের টিনের ছাউনির সে স্থাপনাটি চোখে পড়বে যে কারো। দূর থেকে ওটাকে কোনো ইঞ্জিন-মেশিনারীর আওয়াজ ও কোলাহল সমৃদ্ধ শিল্প-কারখানার শেড মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে তা নয়। ওটাই বর্তমানে ডেইরী জগতের বিস্ময়কর ডাচ ডেইরী লিমিটেড। যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে।  

ডাচ ডেইরী একটি সম্পূর্ণ বানিজ্যিক পশু পালন খামার। এ প্রকল্পটির উদ্যোক্তারা সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে গড়ে তুলেছেন খামারটি। মাত্র তিন বছরে ডাচ ডেইরী বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে। প্রায় ১১৫ বিঘা জমির ওপর ১১ (এগার) টি বৃহদাকারের শেড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে খামারটি। আমাদের দেশে গবাদিপশুর খামার কথাটি শুনলেই সাধারণত এক বা একাধিক টিনের ছাউনির মধ্যে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকা গরুর সারির ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কিন্তু ডাচ ডেইরী এ ধারণা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আধুনিক চিন্তাভাবনা, সুপরিকল্পনা এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে গড়ে তোলা হয়েছে খামারটি। উদ্যোক্তারা তাঁদের মূলধন বিনিয়োগ করেছেন বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে, তবে তা অবশ্যই সব ধরনের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে। দেশের দুধের চাহিদা পূরণ এবং প্রোটিনের ঘাটতি মেটানোর চিন্তাভাবনা এতে স্থান পেয়েছে। 

খামারটির মূল গেট দিয়ে প্রবেশের পর দেখা যাবে সারি সারি কয়েকটি উঁচু টিনের ছাউনি। সবগুলোর মেঝে কংক্রিট নির্মিত। কোথাও ইট বিছানো। এখানে আসার পর গরুর খামার সম্পর্কে যে-কারো ধারণা পাল্টে যাবে। সাধারণত আমাদের দেশে খামারগুলোতে গরু-ছাগল গলায় দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে পালন করা হয়। এতে পশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যার একটি বড় অনুষঙ্গ অনুপস্থিত থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ হাঁটাচলা করতে না পারার কারণে পশুর স্বাস্থ্যের কাঙ্খিত বিকাশ হয় না। কিন্তু ডাচ ডেইরীতে দেখা যাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। এখানে গরুগুলো সম্পূর্ণ মুক্তাবস্থায় থাকে। ওদের গলায় দড়ি নেই। ওরা নিজেদের খেয়াল খুশি মতো হাঁটে, চলাফেরা-বিশ্রাম করে। ক্লান্ত হলে শেডের নিচে শুয়ে জাবর কাটে। আমাদের দেশের গবাদিপশুর খামারে গরুর মল-মুত্র আর খাদ্যের অবশিষ্টাংশ মিলিয়ে যে নোংরা পরিবেশ সাধারণত দেখা যায়, ডাচ ডেইরীতে তা একেবারেই অনুপস্থিত। এখানে প্রতিনিয়ত জীবানুনাশক  স্প্রে করে পানি দিয়ে মেঝেগুলো পরিস্কার করা হয়। ঝকঝকে তকতকে মেঝেতে নেই একটি মাছিও। মাছি নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ব্যবস্থা। শেডের উপরদিকে লোহার পাইপে মেখে রাখা হয় এক ধরনের আঁঠালো পদার্থ। ফলে মাছি সেখানে বসলেই আটকে যায়। ঠিক একইভাবে রাতে মশার কামড় থেকে গরুগুলোকে রক্ষার জন্য রয়েছে বিজ্ঞান সম্মত আধুনিক ব্যবস্থা। ফলে মশা-মাছির উৎপাত থেকে ডাচ ডেইরীর গবাদি পশুরা নিরাপদে রয়েছে। 

খামারটির কর্মপরিবেশ অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। কেউ গরুকে খাবার দিচ্ছে, কেউ গরুর মল-মূত্র পরিস্কার করছে, কেউ আবার শারীরিক পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত। প্রতিটি গরুর শরীর নিয়ম করে প্রতিদিন আচড়ে দেয়া হয় যান্ত্রিক ব্রাশের মাধ্যমে। একই সঙ্গে গরুর শরীর মেসেজের কাজটিও হয়ে যায়। কর্মীরা খামারে প্রবেশের আগে নির্ধারিত পোশাক পরিধান এবং জীবানুনাশক টানেলের ভেতর দিয়ে আসতে হয়। কোনোভাবেই যাতে কোনো গরু সংক্রমিত না হয় সেজন্য এ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। মোটা পাইপের ভেতর দিয়ে গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে শেডগুলোকে ঠান্ডা রাখা হয়। আবার শীতের সময় যাতে অতিরিক্ত ঠান্ডায় গরুর অসুখ বিসুখ না হয়, সেজন্য রয়েছে  শেড হিটিং ব্যবস্থা। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার জন্য রয়েছেন কয়েকজন পশু চিকিৎসক। তারা নিয়মিত গরুগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকেন। গরুগুলোর গলায় দড়ি না থাকলেও রয়েছে একটি চামড়ার বেল্ট। তাতে পৃথক নম্বরসহ একটি করে ডিভাইস লাগানো আছে। কানেও রয়েছে আরেকটি ডিভাইস। এ ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রিত হয় একটি কেন্দ্রিয় সার্ভার থেকে। এ ডিভাইস সংকেত পাঠায় কোন গরুটি কোথায় আছে, কী করছে। কোনো গরু অসুস্থ হয়ে যদি কোথাও শুয়ে পড়ে, সাথে সাথে তা সেন্ট্রাল মনিটরে দেখা যাবে। ফলে গরুগুলো চব্বিশ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকছে। 

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাতঘড়িয়া গ্রামের সন্তান দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক এ্যাবা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান মৃধা শিপন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিল্লুর রহমান মৃধা রিপন। আর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গিয়াস আহমেদ নীরব। উদ্যোক্তাদের বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে খামারটি গড়ে তুললেও দেশের অর্থনৈতিক খাতে অবদান রাখাও তাদের অন্যতম লক্ষ্য। 

সম্প্রতি খামারটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে। তিনি খামারটির প্রতিটি অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে বলেন, এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের গবাদিপশুর খামার। এ ধরনের খামার বাংলাদেশের গবাদিপশু পালন শিল্পকে সমৃদ্ধ করবে, যা দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখতে পারে।  

কথা হয় ডাচ ডেইরীর সিইও গিয়াস আহমেদ নীরবের সাথে। তিনি জানালেন, ২০১৮ সালের ৫ মে খামারটি উদ্বোধন করা হয়। শুরুতে ডাচ ডেইরীতে গরুর সংখ্যা ছিল ৬০টি। এর সবগুলোই অষ্ট্রেলিয়া থেকে স্পেশাল কার্গো বিমানে আনা উন্নত জাতের গরু। পরবর্তীতে বিদেশি উন্নত জাতের আরো গরু আনা হয়। তিন বছরের মাথায় এসে বর্তমানে সেখানে গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে দুগ্ধদানকারী গাভীর সংখ্যা ৫৫০টি। খামারটিতে ষাড় ও বাছুর মিলিয়ে রয়েছে আরো প্রায় পাঁচ শতাধিক পশু। বর্তমানে খামারটিতে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার লিটার দুধ উৎপন্ন হয়। শিগগিরই এর পরিমাণ আরো বাড়বে। তিনি জানালেন, গরুর পাশাপাশি তারা ছাগল এবং ভেড়াও পালন করছেন। এগুলোর সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। খুব শিগগিরই তারা জবাইখানা (স্লটারিং হাউস) স্থাপন করে মাংস সরবরাহের প্রকল্পও শুরু করবেন।

গিয়াস আহমেদ জানান, ডাচ ডেইরীর উদ্যোক্তাদের মূল লক্ষ্য ভোক্তা সাধারণের হাতে খাঁটি দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য ও মাংস তুলে দেয়া। এজন্য তারা গরুগুলোর যত্ন নেন আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতিতে। প্রতিটি পশুকে প্রতিদিন যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসল করানো হয়। পশুগুলোর খাবার দেয়ার জন্য সারি ধরে বসানো হয়েছে ইট-সিমেন্টের তৈরি চৌকোণা স্থায়ী পাত্র। প্রতিটি গরুর জন্য রয়েছে দুটি পাত্র। একটিতে শুকনো খাবার, অন্যটিতে থাকে পানি। সে পানি গভীর নলকূপের সাহায্যে তোলা হয় এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়। ভূট্টা, শুকনো এবং সবুজ ঘাস সমন্বয়ে নিজেদের তত্ত্বাবধানে তৈরি করা সুষম খাবার, দেয়া হয় গরুগুলাকে। ভূট্টা আনা হয় দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে। 

ডাচ ডেইরী শুধু দুধ উৎপাদন খামারই নয়। এখানে রয়েছে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পও। এ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত গরু বিক্রি করা হয়। তবে, কৃত্রিম উপায়ে বা কোনো ধরনের ওষুধ খাইয়ে গরুকে স্বাস্থ্যবান করা হয় না। প্রতিদিন যে সুষম খাদ্য দেয়া হয়, তাতেই ওরা স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে- জানালেন গিয়াস আহমেদ। 

ডাচ ডেইরীর গাভীগুলো থেকে দুধ আহরণ ব্যবস্থা অত্যন্ত চমৎকার। কোনোরকম হাতের স্পর্শ ছাড়াই গাভীর স্তনের বাঁট থেকে দুধ চলে যাচ্ছে কন্টেইনারে। প্রতিদিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ে গাভীগুলো দুধ দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে লাইনে করে দাঁড়ায়। এক সাথে ছয়টি গাভী থেকে এখন দুধ সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। খুব শিগগিরই এর সংখ্যা বাড়ানো হবে  বলে জানালেন সিইও গিয়াস আহমেদ নীরব। গাভীগুলো মিল্ক পার্লার অর্থাৎ দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রে প্রবেশ করে একটি জীবানুনাশক টানেল দিয়ে। এরপর বাঁটগুলোকে পরিস্কার পানি দিয়ে  স্প্রে করে ধুয়ে একটি তোয়ালে দিয়ে মোছা হয়। প্রতিটি গাভীর জন্য রয়েছে আলাদা তোয়ালে। সেগুলো প্রতিদিন ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করা হয়। গাভীগুলো লাইন দিয়ে মিল্ক পার্লার শেডে আসে। মোটা মোটা স্টেনলেস স্টিলের পাইপের সাহায্যে তৈরি করা লাইনের মাধ্যমে কোন গাভীটি কোন মেশিনের সামনে যাবে নির্দিষ্ট করা আছে। আবার দুধ দোহানো  শেষে ওগুলো নির্দিষ্ট বর্হিগমন পথ দিয়ে বেরিয়ে যায়। দুধ দোহানোর এ দৃশ্যটি অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। কোনো হই হল্লা নেই, হুড়োহুড়ি নেই, শান্ত-সুবোধ শিশুর মতো গাভীগুলো সুশৃঙ্খলভাবে ঢুকছে আবার বেড়িয়ে যাচ্ছে।

ডাচ ডেইরী লিমিটেডকে একটি আন্তর্জাতিক মানের খামারে উন্নীত করার দৃঢ় ইচ্ছার কথা জানালেন গিয়াস আহমেদ। বললেন, ডাচ ডেইরীর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা হলো, এটাকে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। যাতে দেশের আগ্রহী ব্যক্তিগণ গবাদিপশুর খামার প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত হন। তারা মনে করেন, বাংলাদেশের  অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে শিল্পায়নের পাশাপাশি কৃষিখাতেও অধিকতর বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা দরকার। গিয়াস আহমেদের মতে, কৃষি তথা গবাদিপশুর খামারে বিনিয়োগ লাভজনক।

জিজ্ঞেস করলাম- অনেকে বলে থাকেন গরুর খামারে বিনিয়োগ লাভজনক নয়, কথাটি কতটা সঠিক?

গিয়াস আহমেদ বললেন, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। মুলত খামারে লোকসান হয় উদ্যোক্তাদের ভুল পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে। কোনো উদ্যোক্তা যদি সঠিক পরিকল্পনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় খামার গড়ে তোলেন, তাহলে তা লাভজনক হতে বাধ্য। তবে, মার্কেটিং একটা বড় ফ্যাক্টর। উৎপাদিত পণ্য যদি সঠিকভাবে বাজারজাত করা না যায়, তাহলে প্রতিষ্ঠান লোকসানের মুখে পড়তে পারে। 

আপনাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে তিনি বললেন, এখন আমরা শুধু দুধ উৎপাদন করছি। ভবিষ্যতে দুগ্ধজাত খাদ্য উৎপাদনে যাওয়ার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এছাড়া গরু-খাসির মাংস বাজারজাত করার প্রজেক্টও আমরা হাতে নিয়েছি। আসলে আমরা চাই ভোক্তারা ন্যায্য দামে খাটি পণ্যটি পান। এজন্য আমাদের প্রচেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকবে। 

প্রকৃতই ডাচ ডেইরী লিমিটেড, একটি বিস্ময়কর খামার। প্রায় একশ কর্মী সেখানে দিনরাত পালা করে কাজ করছে। উদ্যোক্তারা নিজেদেরকে খামারটির মালিক মনে করেন না। নিজেদেরকেও তারা কর্মী মনে করেন। ব্যবসার পাশাপাশি মানুষকে খাটি খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে তারা মানবসেবা করছেন- এ আত্মতৃপ্তি রয়েছে তাদের। 

শুধু ব্যবসা নয়, জনকল্যাণ ও মানবসেবায় ডাচ ডেইরী কর্তৃপক্ষ অবদান রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। গত বছর করোনাকালীন দু:সময়ে ডাচ ডেইরী সাতঘড়িয়া গ্রামের নবজাতক ও এক বছর বয়সী শিশুদের মাঝে ছয় মাস পর্যন্ত  দুধ বিতরণ করেছে। এছাড়া প্রতি ঈদুল আযহায় স্থানীয় বিভিন্ন মাদরাসা, এতিমখানা ও দরিদ্র বেদে পরিবারের মধ্যে গরু বিতরণ করা হয়। ডাচ ডেইরী কর্তৃপক্ষ মনে করে, ব্যবসার পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। ভবিষ্যতে সমাজ থেকে দারিদ্র দূরীকরণ এবং  কর্মসংস্থানের বড় ধরনের উদ্যোগ নেয়ার ইচ্ছা তাদের রয়েছে।

গ্রামনগর বার্তা  প্রত্যাশা করে যে, সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ডাচ ডেইরী প্রকল্পটি একদিন এই উপমহাদেশে শীর্ষস্থানীয় খামারে পরিণত হবে।

কথা শেষ করে ডাচ ডেইরীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানালাম সিইও গিয়াস আহমেদকে। 
তিনিও গ্রামনগর বার্তাকে ধন্যবাদ দিয়ে শুভ কামনা জানালেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত