সাউন্ডগ্রেনেড বিস্ফোরণে জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ পণ্ড ও ককটেল বিস্ফোরণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:১৯ |  আপডেট  : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৯

পুলিশের বাধায় জাতীয় পার্টির সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেওয়ায় পুরো এলাকাজুড়ে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

‎শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকালে কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার চেষ্টা করে জাতীয় পার্টি। পরে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের কর্মসূচি পণ্ড করে দেয় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ করতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে থাকেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। বেলা আড়াইটার দিকে শুরু হয় সমাবেশ। এতে নেতারা বক্তব্য দিতে থাকেন। এক ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৩টার পর পুলিশ গিয়ে প্রথমে তাদের বাধা দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা না শুনে সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দলটি। একপর্যায় পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এরপর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কিছু সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এখন নেতাকর্মীরা আশপাশের বিভিন্ন সড়কে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছেন। এমন পরিস্থিতিতে কাকরাইল এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

‎রংপুর থেকে আসা জাতীয় পার্টির কর্মী জুলহাস মিয়া বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করেছিলাম। সমাবেশ শুরু করার পর পুলিশ এসে আমাদের বাধা দেয়। আমাদের নেতাকর্মীরা তখন সমাবেশের মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিল। যেই মুহুর্তে আমাদের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি বক্তব্য দেওয়ার কথা তখনই পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও জলাকামান নিক্ষেপ করে। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি যে, আমরা সমাবেশ শেষে চলে যাব। তারা আমাদের অনুরোধ না রেখেই আমাদের ওপর হামলা করে।’

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার জাতীয় পার্টির নেতা তাওহীদ আলম বলেন, ‘আমরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সকাল থেকে শিল্পকলা, পল্টন ও কাকরাইল মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে সমাবেশে এসেছি। সমাবেশ শুরু হওয়ার পর পুলিশ এসে আমাদের বাধা দিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।’

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সড়ক বন্ধ করে সমাবেশের কোন অনুমতি ছিল না। আমরা তাদের সমাবেশ করতে নিষেধ করেছিলাম। তারা বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছিল। এছাড়াও তাদের সরে যেতে বললে তারা তা শুনেনি। তাদের সমাবেশ ঘিরে যেন কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত