কমনওয়েলথ ফাইন্যান্স মিনিস্টার্স মিটিংয়ের সভাপতি হলেন মুস্তফা কামাল

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৫১ |  আপডেট  : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:২৭

কমনওয়েলথ ফাইন্যান্স মিনিস্টারস মিটিং ২০২২-এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার (১৩ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ‌্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফ-এর বার্ষিক সভা-২০২১ এর সাইড লাইনে কমনওয়েলথ অর্থমন্ত্রীদের একটি ভার্চুয়াল সভা হয়। সভায় কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের অর্থমন্ত্রী এবং উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

সভায় অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনের সভাপতিত্বে কমনওয়েলথ সচিবালয় মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডসহ সভায়যুক্ত প্রতিনিধিরা টেকসই এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ঋণ, বৈশ্বিক ট্যাক্স চুক্তি এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি মোকাবিলায় ঋণ এবং কমনওয়েলথ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স অ্যাক্সেস হাবসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন।

২০২২ সালের কমনওয়েলথ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ লাভ করায়, বাংলাদেশের সর্বস্তরের নাগরিকের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অর্থমন্ত্রী সভায় অবহিত করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে গড়ে ৭.৪ শতাংশ অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এমনকি অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ মহামারিকালে গত বছর যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, এমন ক্রান্তিকালেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, গত মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভার টেকসই উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে।

মুস্তফা কামাল বলেন, কমনওয়েলথের একটি গৌরবময় অতীত আছে। ১৭৬৯ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বাষ্প ইঞ্জিন আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রথম শিল্প বিপ্লবের যাত্রা, যা সত্যিকার অর্থে বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের শিখা জ্বালিয়েছিল। ১৭৭১ সালে সত্যিকারের কারখানা বলতে যা বোঝায় সেটি প্রথম যুক্তরাজ্যের ডার্বিশায়ারের ক্রমফোর্ড নামক গ্রামে নির্মিত হয়েছিল। সর্বজনবিদিত একটি সত্য হচ্ছে, সপ্তদশ শতাব্দীতে কমনওয়েলথভুক্ত ভারত উপমহাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ ছিল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্ত-কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্ঞান, প্রযুক্তি ও উত্তমচর্চা শেয়ারের মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো অধিকতর আর্থসামাজিক সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত