হৃদরোগ প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন : স্বাস্থ্য সচিব

  নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:০৭ |  আপডেট  : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০০:৪৬

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেছেন, হৃদরোগ এখন দেশের অন্যতম স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যুহারের প্রধান কারণ। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধ, প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং উন্নত চিকিৎসা সেবায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরাঞ্চলের জনগণের সেবায় ফাউন্ডেশনকে আরও শক্তিশালী করতে বার্ষিক সরকারি অনুদান এক কোটি থেকে দুই কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ বেতন ও ৬০ শতাংশ সরঞ্জাম ও চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে ব্যয় করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজশাহীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে হৃদরোগ চিকিৎসা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম সম্প্রসারণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য সচিব আরও বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই ফাউন্ডেশনের মহতী উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে যাঁরা অবদান রাখছেন, তাঁদের নামে ইউনিট করা যেতে পারে। পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সংখ্যা ও চাঁদার পরিমাণ বাড়াতে হবে, যাতে সেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করা যায়। আমিও ফাউন্ডেশনের সদস্য হতে আগ্রহী। সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে প্রতিষ্ঠানটি আরও সেবা সম্প্রসারিত করতে পারবে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট রাজশাহীর পরিচালক ও প্রধান পরামর্শক অধ্যাপক ডা. মো. রইছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. হাবিবুর রহমান, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এসআইএম রাজিউল করিম,ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য এনামুল হক, ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী,ডা. মো. ওয়াসিম হোসেন প্রমুখ। উল্লখ্যে,১৯৭৮ সালে সরকারের আর্থিক সহায়তায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ সালে রাজশাহীতে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯২ সালে বিশিষ্ট সমাজসেবক ও চিকিৎসক ডা. মো. আব্দুল খালেক নগরীর বাকির মোড়ে ৩১.৪৫ শতক জমি দান করে পূর্ণাঙ্গ হৃদরোগ হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের আওতায় আধুনিক পাঁচতলা হাসপাতাল ভবন নির্মিত হয়। বর্তমানে এখানে কার্ডিওলজি, কার্ডিয়াক সার্জারি, আইসিইউ, সিসিইউসহ উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।#
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত