বগুড়ায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু
নাজমুল হুদা
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪১ | আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:১১
বগুড়ার নন্দীগ্রামে আগাম জাতের আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। অল্প সময়ে ঘরে তোলা যায় বলে এই ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। ধান কাটা-মাড়ায়ের পর একই জমিতে রবিশস্যের চাষাবাদ করা হবে। নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন রবিশস্য চাষাবাদ করেও লাভবান হয়ে থাকে। নন্দীগ্রাম উপজেলার নামুইট ও বদলাশনসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন মাঠজুড়ে পাকা ধানের সোনালি রঙের সমারোহ। যতদূর চোখ যায়, ততদূর পর্যন্ত পাকা ধানের ঝলমলে ধানের শীষ দেখা যায়। কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষেরা ধান কাটা-মাড়াই ও ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ১৯ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এর চেয়েও বেশি জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নের কৃষকরা আগাম জাতের আমন ধান চাষাবাদ করেছে। এসব ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না থাকায় এই বছর আগাম জাতের আমন ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে।
ঢাকইর গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, আমি আট বিঘা জমিতে মিনিকেট ও ব্রিধান-৭৫ জাতের ধান চাষ করেছি। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ব্রিধান-৭৫ প্রতিমণ ধান ১২২০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে মিনিকেট ধানের দাম আরো বেশি হবে কিন্তু আমি বিক্রি করিনি।
১নং বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, ধান কাটা-মাড়াই ও নবান্ন উৎসবকে ঘিরে কৃষক পরিবারের ব্যস্ততা বেড়েছে। নতুন ধানের চাল দিয়ে ক্ষীর-পায়েস, পিঠা-পুলিসহ নানা রকম খাবার তৈরি করে অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। বাঙালির রীতি অনুযায়ী পহেলা অগ্রহায়ণ থেকে নবান্ন উৎসব শুরু হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, আগাম জাতের আমন ধান ইতোমধ্যেই কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কৃষকরা এবারো আমন ধানের ভালো ফলন পাচ্ছে। বাজারে আমন ধান বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এখন কৃষকরা পরবর্তী মৌসুমের ফসল উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত