মৎস্যখাতের গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:১৩ | আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৯
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, মৎস্যখাতের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ খাতের উন্নয়নে নানাবিধ আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং সময়োপযোগী উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছে। যার ফলে দেশ এখন মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বুধবার (৩১ জুলাই) ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য- ‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাঙালির দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার অন্যতম অনুষঙ্গ মাছ বাঙালির কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদাপূরণ, সুস্থ ও মেধাবী মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে মৎস্য খাত জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, মৎস্য খাতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়ন ও টেকসই সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম রক্ষণাবেক্ষণ, বিল নার্সারি স্থাপন, পরিবেশ ও প্রতিবেশের উন্নয়নসহ জলজ দূষণ রোধকল্পে কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মৎস্যচাষে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক যান্ত্রিকীকরণ ও নিবিড়করণসহ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মৎস্যচাষিদের লাগসই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খামারের উৎপাদনশীলতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, সুনীল অর্থনীতির অবারিত সুযোগকে কাজে লাগাতে সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে অর্জিত বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চলে নিয়মিত মৎস্যের মজুত নিরূপণ, যথাযথ সংরক্ষণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করতে হবে। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে- এটাই সবার প্রত্যাশা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত