পঞ্চগড়ে সরকারি গুদামে ধান দিতে কৃষকের অনাগ্রহ

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৩ |  আপডেট  : ১২ মে ২০২৪, ২২:১৫

সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সরবরাহে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় পঞ্চগড়ে কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান দিতে অনাগ্রহী হয়ে উঠেছে। সরবরাহে উম্মুক্ত পদ্ধতি চালু করলে কৃষকরা সহজে ধান দিতে পারতো সরকারকে এমনটাই ধারনা সকল শ্রেণির মানুষের। কৃষিতে ভুর্তকি দিয়ে সরকার উৎপাদন বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নিলেও মূল ফসল ধান কিনতে না পারার বিষয়টি কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে ধারনা করছে কৃষি সংশ্লিষ্টদের। তবে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার এক ইঞ্চি জমিও ফেলে না রাখার ইতিবাচক ঘোষনা দিয়েছেন। কিন্তু সরকার সরাসরি ধান পাচ্ছেন না কৃষকের কাছ থেকে। যা নেতিবাচক বলছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতি বছরে দুই মৌসুমে ধান ফলন হয় জমিতে। এতে লাখ লাখ টন ধান উৎপন্ন হয়। কিন্তু সুষ্ঠু ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এর এক তৃতীয়াংশ ধান পায় না সরকারি থাদ্য গুদাম। অনেকেই মনে করছেন একটি পরিকল্পিত নীতিমালার ভিত্তিতে সরকার তার সরকারি খাদ্য গুদামগুলোতে সব মৌসুমেই ধান কিনতে পারে।

পঞ্চগড়ের খাদ্য বিভাগের নানা সূত্র মত দেন ‘কৃষক ছাড়াও সরাসরি ব্যবসায়িদের নিকট থেকে ধান কেনার নিয়ম চালু করলেই ধান শতভাগ কেনা বা সংগ্রহ করা সম্ভব। জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে কৃষকের কাছে সরাসরি ধান কিনতে অ্যাপস চালু করে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান এই অ্যাপস খাদ্য বিভাগ কর্তৃক ব্যব্ধসঢ়;হৃত ও তাদের নিয়ন্ত্রনে। জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে জেলার নয়টি খাদ্য বিভাগের মাধ্যমে সরকারি ভাবে আমন ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শেষ হয়েছে। ধান শতভাগ সংগ্রহ করা গেলেও ধান সংগ্রহ অভিযান প্রায় শূন্যের কোঠায়। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার আটশত উননব্বই মেট্রিক টন। যার শতভাগ সংগ্রহ করা হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ মিলার ছিল একশত ছাপান্ন টি। এছাড়া ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার হাজার দশ মেট্রিক টন। সংগ্রহ করা হয়েছে মাত্র তিনশত ছত্রিশ মেট্রিক টন। সে হিসেবে মাত্র বরাদ্দের আট শতাংশ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,গেলো মৌসুমে ধান উৎপাদন হয়েছে পাঁচ লাখ আঠারো হাজার চারশত তেত্রিশ মেট্রিক টন। এতে চালের উৎপাদন হয়েছে তিন লাখ পয়তাল্লিশ হাজার ছয়শত বাইশ মেট্রিক টন। তবে খাদ্য বিভাগ বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারনকে ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এবারেও বোরো ধান সংগ্রহ কি হবে তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। পাশাপাশি কৃষক ও নানা সূত্রের সাথে কথা বলে জানা যায়, অ্যাপস আর ধানের আদ্রতায় কঠোরতা ও গুদামে নিয়ে যাওয়ার খরচ দৃরত্ব সহ নানা নিয়ম কানুনের বেড়াজালকে হয়রানি মনে করছেন কৃষকরা। সাধারন জনগন ও মিলারদের মতে, একটি সুষ্ঠু নীতিমালা করে সরকারি ভাবে ধান কেনা যায়। যেমন; উৎপাদনের একটি বড় অংশ সরকার কিনবে। যা দরপত্রে বা সরাসরি ব্যবসায়িদের নিকট থেকে। সদর উপজেলার মাগুড়া ও চাকলাহাটের কয়েকজন বড় প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বলে তারা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন ‘ভাই কয়েক বস্তা ধান নিয়ে ওই গুদামে যাওয়ার সময় আমাদের থাকেনা। আমরা নগদ পঞ্চাশ একশো টাকা কম পাই সেটাই ভালো। এজন্য মানুষ সারা দিনের মূল্য আছে ‘আমাদের সংসার আছে। খাদ্য বিভাগের লোকজন শুকনো ধান খোঁজ করে; আমরা ভাবি যদি তারা ধান ফেরত দেয় তখন কি করবো। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামরুজ্জামান বলেন ‘বাজারে ধানের ধান অনেক বেশি বলে ধান কিনতে পারিনি। এবার তো এখনো বরাদ্দ আসেনি। আগামি ৭ মে থেকে বোরো ধান সংগহ্র অভিযান শুরু হবে।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত