পঞ্চগড়ে উৎপাদন হবে প্রায় ২০ কোটি টাকার কাঁচামরিচ 

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১৯:০৬ |  আপডেট  : ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫

মাঠ-প্রান্তরে কাঁচা মরিচের বিস্তৃর্ণ ক্ষেত। বুক বেঁধে কৃষক তার জমিতে এই অর্থকরি ফসলের চাষ করে আসছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মূলে কৃষকের অবদান অর্থনীতিতে অপরিসীম।

বৈরি প্রকৃতিতে ঘাটতি আসতে পারে। তারপরেও আফসোস আর শঙ্কা কাটিয়ে কাঁচা মরিচ তুলতে ব্যস্ত। এ জেলার বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন চলছে মরিচ তোলার মৌসুম। তবে তা শেষের দিকে।জেলা কৃষি অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তারা জানান, জমির ৮০% কাঁচা মরিচ তোলা হয়ে গেছে।

জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অজির্ত হয়েছে ৮ হাজার ৮৮৭ হেক্টর। উৎপাদনের ৮০% কাঁচা মরিচ কৃষকরা শুকিয়ে বিক্রি করবেন।দেশে চাহিদার সাথে সাথে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।মঙ্গলবার সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ঝলইহাটে কয়েকজন শুকনো মরিচ ব্যবসায়ি জানায় আমরা মরিচ কিনে বাইরের ব্যবসায়িদের নিকট বিক্রি করি।ওই এলাকার কৃষক নবাব জানান, মরিচের আবাদ ভালো নাই। কারণ বৃষ্টির অভাবে হযতো এবার উৎপাদন কম হতে পারে।তিনি জানান, আমি এখনো মরিচ তুলতে পারিনি নানা ব্যস্ততায়। তবে মানভেদে প্রতিমন কাঁচামরিচ দুই হাজার ৭০০ টাকা থেকে দুই হাজার আটশত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিঘায় ১০ থেকে ১২ মন মরিচ উৎপাদন হয়। কিন্তু এবারে উৎপাদনে সন্দেহ আছে। 

এদিকে কৃষি কর্মকর্তারা জানান প্রতি হেক্টরে মরিচ উৎপাদন হওয়ার কথা ২ দশমিক ৮২ মেট্রিকন টন। এতে শতভাগ ভাগ শুকনো মরিচ হলে তার দাম প্রায় ২০কোটি টাকা।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায় পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী ও সদর ,তেতুঁলিয়া দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলার সবর্ত্র মাঠ-ঘাট এখন কাঁচামরিচ শুকানোর ধূম পড়েছে। আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ,বার আউলিয়া, সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া, ফুটকীবাড়ি তেতুঁলিয়া উপজেলার শংকরপাড়া, দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী , মাড়েয়া এলাকা সহ বিস্তৃর্ন এলাকার মাঠ-ঘাটে চলছে মরিচ শুকানোর ধূম।

দেখা গেছে কৃষকরা ক্ষেত থেকে মরিচ তুলে বাড়ির উঠান-মাঠ ও ক্ষেতে মরিচ শুকানোর কাজে নিয়োজিত। বাড়ির নারী ও ছেলে-মেয়ে সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এখন এ কাজে ব্যস্ত।এছাড়া পূরুষের পাশাপাশি নারী কৃষাণিরাও এখন মাঠে মরিচ তোলার কাজ করছে। মরিয়ম বেগম নামে এক নারী কৃষাণী জানান, মরিচ তুলে তার প্রতিদিন আয় হয় ।

জেলা কৃষি অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকতা নইমুল হুদা সরকার জানান,মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৪ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। তবে মোট আবাদের ৮০৫ হেক্টর জমির মরিচ তোলা হয়েছে। সব মরিচ তোলা হলে পুরো হিসাব পাওয়া যাবে। প্রতি হেক্টরে মরিচ উৎপাদন হওয়ার কথা ২ দশমিক ৮২ মেট্রিক টন। এছাড়া কৃষক উৎপাদনের প্রায় ৮০% মরিচ শুকিয়ে বিক্রি করে থাকে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত