নিজেকে রাজাকার বলে স্লোগান দেওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল, শাস্তির দাবি
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১৫:২২ | আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪
‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’- স্লোগান দেওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতি গভীর অসম্মান প্রদর্শন। এ ধরনের স্লোগানধারীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন আজ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নিজেকে রাজাকার, রাজাকার- বলে স্লোগান দেয়া, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার হিসেবে কাজ করেছে- তাদের পক্ষে দাঁড়ানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল। এই ধরনের কার্যকলাপ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। কারণ, এটি জাতির সংহতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানে।’
তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং রাজাকারদের সমর্থনকারী কার্যকলাপ আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এ জন্য সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির উচিত এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং জাতীয় সংহতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।
নেত্রবৃন্দ বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি- বেশ কিছুদিন যাবত, কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে ’৭১-এর পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মা গোষ্ঠী মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে নানা ভাবে অপমান-অপদস্থ করছে। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে, তিনিও এ বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন।’
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় থেকে রাতের আধারে পরিত্যক্ত ও প্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় কতিপয় বিভ্রান্ত শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বিরোধী বালখিল্য কর্মকা- এবং ‘রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এরা সময়ে অসময়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভক্ত করছে, ঐতিহাসিকভাবে মীমাংসিত বিষয়কে অমিমাংসিত করার চেষ্টা করছে। এখানে আমরা দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অবিলম্বে রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করে, এদের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি-বেসরকারি সকল চাকুরীতে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত