নতুন শিক্ষাক্রম কার্যকর করা সম্ভব বলে মনে করছি না
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১৩:১২ | আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮
নতুন শিক্ষাক্রমকে কার্যকর করা সম্ভব বলে মনে করছেন না শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
উপদেষ্টা বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমকে কার্যকর করা সম্ভব বলে আমি মনে করছি না। সাময়িক সময়ে আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করব, কিন্তু সেটা ধাপে ধাপে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা কোনোভাবে বিপাকে না পড়ে, সেদিকে নজর রাখব।
রোববার ( ১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, তাদের আমরা অস্বস্তিতে পড়তে দেব না। আমি বলছি না যে শিক্ষাক্রম এখনই বাতিল করে দেব, বরং পরিমার্জন করা হবে। যাতে ডিসকন্টিনিউয়িটি না হয়। আমরা কাজটা শুরু করবো। হয়তো শেষ করতে পারবো না। যে শিক্ষার্থী এই শিক্ষাক্রমে ঢুকে পড়েছে তার যেন কোনো অস্বস্তি না হয়। কোনো পরিবর্তনের মুখে না পড়ে। আমরা সেই চেষ্টা নিশ্চিত করবো।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছিল ২০২১ সালে। এত দিন ধরে মাঠ পর্যায়ে সব জায়গায় এগুলো নিয়ে অনেক গবেষণা-তথ্য তৈরি হয়েছে; সেগুলো আমার কাছে আছে। শিক্ষাক্রম তো উন্নত করতে হবে, সময় বদলাচ্ছে। কিন্তু যেটা তৈরি করা হয়েছে সেটা বাস্তবায়ন খুবই কঠিন বর্তমান পর্যায়ে। আমাদের যে শিক্ষক আছে তা দিয়ে। এটা আমাদের দেশের জন্য যে সর্বক্ষেত্রে উপযোগী সেটাও মনে করছি না। কাজেই আমরা এই শিক্ষা কার্যক্রমকে খুব সম্ভবত এটা কার্যকর করা সম্ভব বলে আমি দেখছি না। এটা বাস্তবায়ন খুব ভালোভাবে হচ্ছে না। বিশেষ করে মূল্যায়ন পর্যায়ে। কিন্তু যাই আমরা করি না কেন, সাময়িক সমের জন্য আমরা হয়তো আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করবো। কিন্তু কীভাবে করবো, যারা ইতোমধ্যে ঢুকে গেছে তাদের অস্বস্তিতে ফেলবো না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকশূন্য। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এগুলো চালু করতে হবে। তবে এটা একটা সুযোগও। আমরা চাইব, সত্যিকার শিক্ষানুরাগী এবং প্রশাসনিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে তাঁদের নিয়ে আসার।’
এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানেই এত দিন ধরে আমাদের বড় ধরনের অবমূল্যায়ন হয়েছে। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পদগুলো শূন্য। এটা পূরণ করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা চাইব বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অতি দ্রুত পূরণ করতে।’
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত