জাতিসংঘের সহায়তা নেবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন: প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৬:৫৫ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪১

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে ‘বিদেশি কারিগরি সহায়তা’ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ‘জাতিসংঘের সহায়তা’র আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের যে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিটি (গঠিত হয়েছে), তাদের সুষ্ঠু ইনকোয়ারি করার জন্য, তাদের ইনকোয়ারিটা যেন খুব উচ্চমানের হয়, এ জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।

তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জাতিসংঘের সাথে সহযোগিতার (সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহায়তা) ব্যাপারে যোগাযোগ হয়েছে। যোগাযোগ বলতে জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশও তার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে।

জার্মান রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে নাঈমুল তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারা (জার্মানি) দৃঢ় আশাবাদী যে, একটা ইন্ডিপেনডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে। যারা দুর্বৃত্ত, তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে।

রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোন সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নাই।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকের শুরুতে জার্মান রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবনহানির ঘটনায় বাংলাদেশ যে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে, তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক ও সমবেদনা জানান।

রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারকে উদ্ধৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সাথে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং এখনো তারা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে।

দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিদ্যমান সুসম্পর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং জার্মানির বেশ কিছু পরিবার বাংলাদেশের যুদ্ধ শিশুকে দত্তক নিয়েছিল; প্রধানমন্ত্রী সে কথা স্মরণ করেন।

ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি প্রসঙ্গে আলাপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, জার্মান রাষ্ট্রদূত তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় শ্লথতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেছেন, গুড উইলের (সুনামের) কমতির জন্য এটা হচ্ছে না। তাদের (জার্মান দূতাবাস) সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এটা হচ্ছে।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত