কাউনিয়ায় নাজিরদহ একতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাটু পানি

সামন্য বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে যায় কাউনিয়ার হারাগাছের নাজিরদহ একতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ। 

সরেজমিনে মঙ্গলবার উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ একতা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠটি নিচু হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠটি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে কাঁদা পানি মাড়িয়ে প্রায় ৮শত শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে নামতে পারছে না। মাঠে জলাবদ্ধতার শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীরা অনেকেই পা পিছলে পড়ে যায়। এতে নোংরা হয় তাদের জামা-কাপড় ভিজে যায় বই খাতা ব্যাগ। এ ছাড়াও মাঠে জমে থাকা কাঁদাপানির কারণে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ ও খেলাধুলা করতে পারে না। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্বক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রæততার সাথে বিদ্যালয়ের মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী দিলরুবা আক্তার, রাবেয়া আক্তার, নবম  শ্রেণির শিক্ষার্থী আসমানী, মিতু আক্তার জানান মাঠে জলাবদ্ধাতার কারণে আমরা সমাবেশে অংশ নিতে ও টিফিন সময়ে খেলাধুলা করতে পারছি না। তাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে মাঠটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি তাদের। স্থানীয়রা জানান, মাঠটি শুধু বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরই নয়, গ্রামের ছেলে মেয়েদেরও খেলাধুলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। মাঠে খেলা ধুনা না থাকলে সন্তানেরা মাদকের দিকে পা বাড়াবে আশক্ত হবে মোবাইলে। মাঠটি ভরাট ও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে শিক্ষা পরিবেশ নষ্ট হয়। উপজেলা প্রশাসন বা শিক্ষা প্রশাসন থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবভিত্তিক কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রমজান আলী বলেন মাঠটি রাস্তা থেকে  নিচু এবং বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পশ্চিমে একতা হাট বাজারের পানি গড়িয়ে গড়িয়ে বিদ্যালয় মাঠে এসে জমে এবং নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ের মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এঅবস্থায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। চরাঞ্চলের মানুষের শিক্ষার জন্য একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির দিকে সরকারী কোন নজর দারী নেই। বিগত সময়ে কর্তৃপক্ষের কাছে মাঠ ভরাটের জন্য অনেক আবেদন নিবেন করেও কোন ফল পাইনি। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বর্ষা শুরুর আগেই বিদ্যালয়ের মাঠটি সংস্কার ও মাটি ভরাট করে উচু করার দাবি জানান তিনি।