জন্মদিনের শুভেচ্ছা সাকিব আল হাসান
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৩ | আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬
বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জন্মদিন আজ। ১৯৮৭ সালে আজকের দিনে মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এই তারকা ক্রিকেটার। আজ ৩৭ বছরে পা দিলেন বাংলাদেশি পোস্টারবয়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সুযোগ পান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্রিকেটারও বলা হয় তাকে।
একটা সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট ছিল নিভু নিভু প্রদীপের মতো। মাঝেমধ্যে আলোর ঝলকানি দেখিয়ে কয়েকজন ক্রিকেটার সৃষ্টি করতেন চমক। দলীয় পারফরম্যান্স না থাকায় অনেকবারই তীরে এসে ডুবে গেছে তরী। সে সময় গেল কয়েক বছরে কিছুটা ফুরিয়েছে। আর সেই আলো স্থায়ীকরণের পেছনে সবথেকে বড় কারিগরের নাম সাকিব। আজ তার ৩৭তম জন্মদিন।
১৯৮৭ সালের এই দিনে (২৪ মার্চ) মাগুরায় জন্মগ্রহণ করেন বিশ্ব ক্রিকেটের এই তারকা ক্রিকেটার। মাগুরার আলোকদিয়া মাঠ থেকে বিকেএসপি হয়ে মিরপুর মাঠ কাঁপিয়ে ছোট্ট ফয়সাল এখন রাজত্ব করে চলেছেন লর্ডস, ইডেন-গার্ডেনসেও।
২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রি-দেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে (অপর দুটি দেশ ছিল ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা) মাত্র ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করে ও ৩টি উইকেট নিয়ে দলকে জেতাতে সহায়তা করেন সাকিব। ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সাকিব অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। ৩৫.১৮ গড়ে সংগ্রহ করেন মোট ৫৬৩ রান এবং ২০.১৮ গড়ে নেন মোট ২২টি উইকেট।
এরপর ২০০৬ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে সাকিব প্রথমবারের মত বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। সেই সিরিজেই আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। ২০০৬ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন সাকিব। এরপর ব্যাট-বল হাতে শাসন করেছেন ক্রিকেট বিশ্ব। ভেঙ্গেছেন একের পর এক রেকর্ড।
যেসব উঠতি ক্রিকেটার রয়েছেন, তারা সবসময়ই সাকিবের কাছে নতুন কিছু শিখতে অধীর আগ্রহে বসে থাকেন। সেসব তরুণ ক্রিকেটারদের মাথায় সবসময় থাকে সাকিবের মতো তারকা হওয়ার লক্ষ্য। সাকিবের এক জীবনে এখন পর্যন্ত যত পাওয়া, তা নিয়েই তিনি কিংবদন্তীর কাতারে পৌঁছে গেছেন! কদিন আগে বিপিএল খেলা তরুণ পেসার রোহানত দৌলা বর্ষন জানিয়েছিলেন সাকিব তার আইডল।
শহীদ আফ্রিদি থেকে জ্যাক ক্যালিস কিংবা যুবরাজ সিং তারা বড় তারকা হলেও, দীর্ঘ সময় রাজত্ব ছিল না তাদের বিশ্ব ক্রিকেটে অলরাউন্ডারের তালিকায়। সেক্ষেত্রে সাকিব অনেক দুর্বার। জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় ক্রিকেটে ব্যয় করেছেন বাংলাদেশের এই সুপারস্টার।
২০০৯ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে আসেন সাকিব। এই ধারাবাহিকতায় টেস্টেও নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করে সেরা অলরাউন্ডারের আসন দখল করেন তিনি। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই সেরা অলরাউন্ডার হন তিনি। যা ক্রিকেট বিশ্বে একমাত্র ঘটনা।
ওয়ানডেতে সাকিব এখন পর্যন্ত ২৪৭ ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ৯টি সেঞ্চুরিতে তার রান ৭ হাজার ৫৭০। আর উইকেট রয়েছে ৩১৭টি। সাদা বলের আরেক ফরম্যাট টি-২০তে ১১৭ ম্যাচে ২৩৮২ রান ও ১৪০টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৬৬ টেস্টে ৩৯ গড়ে ৪৪৫৪ রান করেছেন তিনি। একই সঙ্গে বল হাতে সাকিবের শিকার ২৩৩ উইকেট।
আজকের বিশেষ এই দিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে গণমাধ্যম, সব জায়গাতেই কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভক্ত - সমর্থকরা।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত