মেসিকে টপকে সেরা ফুটবলার হালান্ড

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:০০ |  আপডেট  : ৬ মে ২০২৪, ০৯:০৯

ফাইল ছবি

ইউরোপের ফুটবলে সেরা মানেই লিওনেল মেসি নাহয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু এ বছর চমক দেখিয়েছেন এক তরুণ। এলোমেলো সোনালী চুলের অধিকারী তরুণটি স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর একটা মৌসুম কাটিয়েছেন। তিনি হলেন আর্লিং হালান্ড। এই তরুণই হয়েছেন ইউরোপের সেরা ফুটবলার। গড়েছেন ইতিহাস।

পুরো বছরটা খুব একটা খারাপ যায়নি লিওনেল মেসির জন্য। জিতেছেন ফ্রেঞ্চ লিগ শিরোপা, নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামিতেও শিরোপার দেখা পেয়েছেন। ছিলেন লিগ ওয়ানের সেরা অ্যাসিস্টের তালিকায়। এমনকি নিজের ৮ম ব্যালন ডি’ অর শিরোপাও শোকেসে তুলেছেন তিনি। অন্য যেকোনো বছরে এটাই হয়ত মেসিকে করে তুলতো সবার চেয়ে আলাদা। তবে চলতি বছরটা যে অন্য কারোর জন্য। ম্যানচেস্টার  সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড চলতি বছর ছাপিয়ে গিয়েছেন আর সবাইকেই। একের পর এক গোল করেছেন। ম্যানসিটির জার্সিতে পেয়েছেন ৫টি আলাদা আলাদা শিরোপার স্বাদ। আর তাতে মুখ্য ভূমিকা ছিল হালান্ডের। পেয়েছেন উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। আর এসবের সুবাদেই মেসিকে টপকে এবার আইএফএফএইচএস এর সেরা ফুটবলার হয়েছেন আর্লিং হালান্ড। 

স্বপ্নের মত বছরই পার করেছেন এই নরওয়েজিয়ান তরুণ। এ বছর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন। এখন পর্যন্ত ৬০ ম্যাচে করেছেন ৫০ গোল। গত বছর বিশ্বকাপ জয়ের পর এই সংস্থার তিন পুরস্কার জয় করেছিলেন মেসি। সেরা খেলোয়াড়, সেরা প্লেমেকার ও সেরা আন্তর্জাতিক গোলদাতার পুরস্কার ছিল এই আর্জেন্টাইনের ঝুলিতে। এবার অবশ্য মেসি নেই সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায়। 

মেসি ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে আছেন তালিকার তিনে। দুইয়ে আছেন ১০৮ পয়েন্ট পাওয়া কিলিয়ান এমবাপে। আর ২০৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে হালান্ড। আইএফএফএইচএস প্রকাশিত বর্ষসেরা ১০ গোলদাতার তালিকায় অবশ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি মেসির নাম। আবার গোলের তালিকায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নাম ওপরে থাকলেও সেরা দশে নেই পর্তুগিজ স্ট্রাইকার। 

প্রকাশিত সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারেও নেই আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ভোটের হিসেবে তাকে পাত্তাই দেননি ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসন। ক্লাবপর্যায়ে আর্লিং হালান্ডের মতোই ৫ শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন তিনি। সব ফাইনালেই দলের ত্রাতা হয়ে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন সেরা গোলরক্ষকের বিবেচনায়। 

এডারসন পেয়েছেন ১৪৫ পয়েন্ট, অ্যাস্টন ভিলার মার্তিনেজের পয়েন্ট ৭৬। গত বছর এই পুরস্কার জেতা থিবো কোর্তায়া এবার হয়েছেন তৃতীয়। চলতি বছর অবশ্য কর্তোয়া প্রায় পুরোটা সময়েই ছিলেন মাঠের বাইরে। নতুন মৌসুম শুরুর আগেই এসিএল ইনজুরিতে পড়েন তিনি।

আইএফএফএইচএস বর্ষসেরা নারী ফুটবলার হয়েছেন স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি। এ বছর মেয়েদের উয়েফা বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অরও জিতেছেন বার্সেলোনার ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এ ছাড়া আইএফএফএইচএসের সেরা নারী গোলরক্ষক হয়েছেন ইংল্যান্ডের মেরি ইয়ার্পস।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত