মাদক নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজার রেলস্টেশনকে বিশেষ জোন করার পরিকল্পনা
প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৩ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০৯
কক্সবাজার থেকে ট্রেনে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক পরিবহন ঠেকাতে বিশেষ জোন করার পরিকল্পনা নিচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। পাশাপাশি সংস্থাটি কক্সবাজার রেলস্টেশনের প্রবেশপথে যাত্রী এবং মালামালের ভেতর মাদক শনাক্তে আধুনিক ড্রাগ ডিটেকশন স্ক্যানার বসাতে চাইছে। এমনকি প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াডের সাহায্যে মাদক উদ্ধারে অভিযান চালাতে চাইছে সংস্থাটি। এজন্য প্রয়োজনীয় জনবলসহ সরঞ্জাম চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রধান কার্যালয়ে।
সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে, সড়কপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি এড়াতে মাদক পাচারকারী চক্রের একটি অংশ ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক পাচারে ট্রেন যোগাযোগব্যবস্থাকে বেছে নিতে পারে।
সম্প্রতি ট্রেনে তল্লাশি ও অভিযান পরিচালনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় থেকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, আইসসহ বিভিন্ন ভয়াবহ মাদক পাচারের প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কক্সবাজার থেকে এ সকল মাদক নিত্যনতুন কৌশলে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে।
এতে বলা হয়, সড়কপথে মাদক পাচার রোধে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে পুলিশ, বিজিবি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৮-১০টি চেকপোস্ট স্থাপন করেছে। এ সকল চেকপোস্টে নিয়মিত যাত্রীবাহী বাসসহ সকল যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়, জেলা কার্যালয় ও গোয়েন্দা কার্যালয় ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দুই বছরে ২ হাজার ৯৩৭টি মামলায় ৩ হাজার ১৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে ৯৬৯টি মামলা চেকপোস্টে উদঘাটিত হয়েছে। এ সকল মামলায় ১ হাজার ৩৩ জনকে ২০ লাখ ৬২ হাজার ৯৪২ পিস ইয়াবা, ১ কেজি হেরোইন, ২ গ্রাম আইস, ৪২০ লিটার চোলাই মদ, ১০টি সোনার বারসহ আটক করা হয়। এ ছাড়া মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি মাইক্রোবাস, ১টি মিনিবাস ও ১টি মিনিট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হয়েছে কক্সবাজার-ঢাকা আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস। বর্তমানে কক্সবাজার থেকে ঢাকা দুটি বিরতিহীন ট্রেন চলাচল করছে। আরও ট্রেন সার্ভিস বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সড়কপথে আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি এড়াতে মাদক পাচারকারী চক্রের একটি অংশ ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক পাচারে ট্রেন যোগাযোগব্যবস্থাকে বেছে নিতে পারে।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত