বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের আশাবাদ ভ্যাটিকানের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:১৮ |  আপডেট  : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৫

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছে ভ্যাটিকান। ঢাকায় নিযুক্ত পবিত্র সিংহাসনের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ কেভিন এস র‌্যান্ডেল বলেছেন, 'বাংলাদেশ যখন নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে, হলি সি পাশে রয়েছে। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও ন্যায্য নির্বাচনের আশা করি।'

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভ্যাটিকান দূতাবাসে ‘পোপ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তঃধর্মীয় সংলাপের জন্য ডিকাস্ট্রির প্রধান কার্ডিনাল জর্জ জ্যাকব কুভকাড।

কার্ডিনাল কুভকাড ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ সফর করছেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি জাতীয় মসজিদ, হিন্দু মন্দির, বৌদ্ধ প্যাগোডা পরিদর্শনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

আর্চবিশপ র‌্যান্ডেল বলেন, 'হলি সি কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না। আমরা জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশের পক্ষে। প্রায় পাঁচ লাখ খ্রিস্টান নাগরিকও দেশের অন্যান্য নাগরিকদের মতো নিজেদের বিবেক অনুসারে ভোট দিবেন।'

তিনি আরও বলেন, 'ধর্মের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন সহিংসতা বা ঘৃণা ছড়াতে না পারে—এই সচেতনতা আমাদের গড়তে হবে। দরকার এমন একটি সমাজ যেখানে ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রাধান্য পায়, ভয় ও ঘৃণা নয়।'

আন্তঃধর্মীয় সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এই সংলাপ আমাদের আশাবাদী করে তোলে। শান্তি, সংহতি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সব ধর্মের মানুষের একত্র হয়ে কাজ করা প্রয়োজন।'

আলোচনায় উঠে আসে ২০১৭ সালে পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টিও। আর্চবিশপ র‌্যান্ডেল জানান, রোহিঙ্গা সংকটে পোপের উদ্বেগ তখন থেকেই বিদ্যমান। 'তাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে, তা প্রশংসনীয়।' বলেন তিনি।

এ সময় রাষ্ট্রদূত পোপ লিও চতুর্দশের কথাও স্মরণ করেন, যিনি রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিআর আবরার বলেন, 'ভ্যাটিকান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক শান্তি, সহানুভূতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই সম্পর্ক ধর্মীয় সম্প্রীতি ও মানবিক মর্যাদা রক্ষায় আমাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন।'

তিনি আরও বলেন, 'চলুন, আমরা সবাই মিলে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ি—যেখানে কোনো মানুষ পেছনে পড়ে থাকবে না, যেখানে জাতি-ধর্মের ভেদাভেদ থাকবে না।'
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত