ডিগবাজি খাবো না: সিইসি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২২, ১৪:১৪ |  আপডেট  : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১২

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ডিগবাজি খাবো না, নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবো।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) নির্বাচন ভবনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র সঙ্গে সংলাপে বসে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। সংলাপে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করার পক্ষে মত দেয়। এ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে ব্যালট পেপারে যে অসুবিধা, ব্যালটা ছিঁড়ে সিল মেরে দেয়। বাংলাদেশে যে নির্বাচনগুলো অতীতে হয়েছে, ৭৩ সালে নির্বাচন হয়েছে, এরপর সামরিক শাসনের সময় নির্বাচন হয়েছে। হা-না ভোট হয়েছে।

এসময় ইভিএমের সুবিধা তুলে ধরে তিনি বলেন, ইভিএম লাঠি ও হকিস্টিক নিয়ে ভেঙে ফেললেও ভোট নষ্ট হবে না।’

সিইসি আরও বলেন, কেন্দ্র দখল ও ভোটার প্রতি পাঁচশ ভোট পড়লে এর হার বেড়ে যাওয়া সম্পর্কেও আলোচনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে, এসবের সমাধান করে অর্থবহ ও নিরপেক্ষ এবং দুর্নীতি মুক্ত নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

ইসির ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, আমাদের ওপর আস্থা রাখেন। আস্থা রাখতে গিয়ে চোখ বন্ধ রাখলে হবে না। নজদারিতে রাখতে হবে, যে আমরা কি আসলেই সাধু, নাকি ভেতরে ভেতরে অসাধু। সেইটা যদি আপনারা নজর না রাখেন, তবে আপনাদের দায়িত্ব পালন হবে না।

অর্থশক্তিকে কীভাবে সামাল দেবো, একটা বুদ্ধি দেন। এ অর্থ নিয়ন্ত্রণ করবো কীভাবে? কাগজে-কলমে পাঁচ লাখ টাকা করা হলেও যদি প্রকৃত খরচ পাঁচ কোটি টাকা হয় কীভাবে আমি আপনাকে ধরবো, আপনি আমাকে কিভাবে ধরবেন। এটা সম্ভব। এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সিইসি আরও বলেন, ‘আমাদের চর্চাটা অপসংস্কৃতি হয়ে গেছে। পয়সা ঢালছে, মাস্তান ভাড়া করছে। একজন প্রফেশনাল কিলারকে হায়ার করতে খুব বেশি পয়সা লাগে না, আজকাল যেটা হয়েছে। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সকলকে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। মাঠ আপনাদের থাকতে হবে। আমাদের তথ্য দিলে আমরা আপনাদের সাহায্য করবো। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এই প্রতিশ্রুতির কিছু মূল্য থাকা উচিত। একেবারে যে আমরা ডিগবাজী খেয়ে যাবো তা তো না। সেটা হওয়ার কথা নয়।’

আমরা আমাদের দায়িত্ব সর্বশক্তি দিয়ে পালন করার চেষ্টা করবো। আপনারাও কিছু দায়িত্ব নেবেন। অর্থ শক্তি, পেশি শক্তি মোকাবিলা ও ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য বেশি দায়িত্ব নেবেন। আমরা শেয়ার করবো দায়িত্বটা।ভোটে কালো টাকা ব্যবহার বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এটার জন্য কমিশন একা কিছু করতে পারবে না, রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সংস্কৃতি বের আসতে হবে।

সিইসি বলেন, ২০১৮ সালের মতো নয়, আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংসদ নির্বাচন হবে সময় মতো। বর্তমান কমিশন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে এসেছে, ডিগবাজি নয়। নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচন করতে চায় কমিশন।

সংলাপে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত