গ্রামে গ্রামে নবান্ন উৎসব
কাউনিয়ায় আমন ধানের দাম পেয়ে বেজায় খুাশ চাষিরা
সারওয়ার আলম মুকুল
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৮ | আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:১৬
কাউনিয়ার মাঠে মাঠে আমন ধানের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে গ্রামীণ জনপদ। দিগন্ত জুরে আমনের ক্ষেতে সোনামাখা রোদে ঝলমলিয়ে উঠছে সোনালি ধান। সেই ধানের ঝিলিক যেন ছড়িয়ে পড়েছে কাউনিয়ার প্রতিটি গ্রামে কৃষকদের চোখেমুখে। ১টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমের অগ্রহায়ণ মাস জুড়ে আমন ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলার উৎসব চলছে। চলতি মৌসুমে রোগবালাই ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, মাঠজুড়ে কিষাণ-কৃষাণী ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমন ধান ঘরে তোলা, মাড়াই, সিদ্ধ ও শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কৃষকের ঘরে ঘরে চলছে নবান্ন উৎসবের আমেজ। কৃষকরা বলছেন, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। অন্যান্য বছরের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পোকামাকড়ের আক্রমণও কম। ফলে এ বছর ভালোই ফলন হয়েছে। তবে বেশ কিছু কৃষকের জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আজমাইন মুশতারী জানান, মাঠ জুড়ে এখন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে প্রতি মণ ধান ১২শ থেকে সাড়ে ১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিবিদ মোঃ আবু সাহেদ, মাঠজুড়ে সোনালী ধানের শীষর দোল দেখে কৃষকদের মন আনন্দে ভরিয়ে তুলছে। দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে অন্যতম উপজেলা কৃষি ভান্ডার নামে খ্যাত রংপুরের কাউনিয়ায় চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮হাজার ২৭৯ মেঃটন। রাজিব গ্রামের কৃষক সোলেমান জানান, এবার ধান চাষে দ্বিগুণের বেশি খরচ গুণতে হয়েছে। সেচের পানিতে রোপণসহ, বাড়তি দামে সার কীটনাশক ব্যবহার ইত্যাদি কৃষকদের মড়ার উপর খাড়ার ঘায়ের মতো হয়ে আছে। উৎপাদন খরচ, দাম এসব নিয়ে ভাবনা থাকলেও আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। গদাই গ্রামের শাহজাহান মন্ডল জানান, হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসে বেশ কিছু জমির ধান পড়ে গিয়ে বেশ ক্ষতি হয়েচে। অনেকই ধান কাটা শেষ করে সেই জমিতে আগাম জাতের আলু, ভূট্টা, মরিচ চাষ শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানিয়া আকতার জানান, চলতি মৌসুমের এ বছর উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পোকামাকড় আক্রমণ কমই দেখা গেছে। পাশাপাশি কৃষকরা ধানের ভালো দামও পাচ্ছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত