কলকাতা সিআইডিকে এমপি আনোয়ারুলের লাশ টুকরো করার যে বর্ণনা দিয়েছে ‘কসাই’ জিহাদ
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ১১:২৬ | আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:৩৬
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে খুন করার পরে যে ‘কসাই’ তার দেহ টুকরো করেছিল বলে অভিযোগ, তাকে কলকাতায় গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। শুক্রবার বারাসাত আদালতে তোলা হবে তাকে।
সিআইডি-র এক শীর্ষ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জানিয়েছেন জিহাদ হাওলাদার নামে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক এবং তিনি অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইতে বাস করতেন। তার আদি বাসস্থান বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার অন্তর্গত বারাকপুরে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আখতারুজ্জামান দুমাস আগে জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল।
বৃহস্পতিবার জিহাদকে আটক করে একটানা জেরা করা হয়। তারা নিহত আনোয়ারুল আজীমের দেহ কলকাতা সংলগ্ন কোন এলাকায় ফেলে দিয়ে থাকতে পারে, সেটা জানার চেষ্টা করা হয়।
নিহত এমপির দেহাংশের খোঁজে সিআইডি বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিশ এলাকার অন্তর্গত পোলেরহাট থানার কৃষ্ণবাটি সেতুর কাছে বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায়। নিউ টাউন এলাকার যে ফ্ল্যাটে মি. আজীমকে খুন করা হয়, সেই আবাসিক কমপ্লেক্সের সামনে দিয়েই এই খালটি বয়ে গেছে।তবে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি বলেই সিআইডি জানিয়েছে।
দেহ লোপাটের বীভৎস বর্ণনা
সিআইডির ওই শীর্ষ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে খুনের পরে কীভাবে দেহ লোপাট করা হয়েছিল, তার ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিয়েছেন।
গ্রেফতার হওয়া জিহাদ সিআইডির জেরায় স্বীকার করেছেন যে আখতারুজ্জামানের নির্দেশে ওই ফ্ল্যাটে সে এবং আরও চার জন বাংলাদেশি নাগরিক এমপি আনারকে শ্বাসরোধ করে খুন করে।
সিআইডির ওই কর্মকর্তা বলছেন, “হত্যা করার পরে মৃতদেহ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে শরীরে মাংস আলাদা করে নেয় তারা। শরীরের মাংস এমনভাবে টুকরো করা হয় যাতে তাকে চেনা না যায়। মাংস-খণ্ডগুলি পলি প্যাকেটে ভরা হয়। হাড়ও ছোট টুকরো করা হয়।”
“এরপরে ফ্ল্যাট থেকে প্যাকেটগুলি বার করে বিভিন্নভাবে কলকাতার নানা জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়,” বলেছেন সিআইডির ওই শীর্ষ কর্মকর্তা।ধৃত জিহাদ হাওলাদারকে শুক্রবার বারাসাত আদালতে তোলা হবে। বিবিসি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত