ইমরানের উপর হামলা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ

  অভিজিৎ বড়ুয়া অভি

প্রকাশ: ৭ নভেম্বর ২০২২, ১১:৪৯ |  আপডেট  : ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৩

ইমরান খান বৃহস্পতিবার দেশের উত্তর-পূর্বে ওয়াজিরাবাদে একটি প্রতিবাদ মিছিলে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তার গাড়িবহরে হামলায় একজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হন। খান এই বছরের শুরুতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভের "লং মার্চ" নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যা ২৮ অক্টোবর লাহোরে শুরু হয়েছিল এবং পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহর ঘুরে ইসলামাবাদে শেষ হওয়ার কথা ছিল। খান, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তার অপসারণকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এবং বর্তমান সরকার ও সামরিক নেতাদের কয়েক মাস ধরে জোরে সমালোচনা করছেন। সাম্প্রতিক দুর্নীতির মামলায় আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে, কিন্তু তিনি তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন। তিনি বারবার দাবি করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ক্ষমতা হারানোর পিছনে ছিল। তার দাবিগুলি দেশে তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে আমেরিকা বিরোধী মনোভাব সৃষ্টি করেছে এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সরকার বিরোধী অনুভূতিকে উস্কে দিয়েছে। খান সতর্ক করে দিয়েছেন যে, তার প্রাণহানির প্রচেষ্টা এই বছরের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার মতো ব্যাপক সরকার বিরোধী বিক্ষোভের উদ্রেক করতে পারে। তিনি বলেন, "হয় আমাদের শান্তিপূর্ণ বিপ্লব হবে, নয়তো রক্তাক্ত হবে।" “মানুষ শ্রীলঙ্কার মতো রাস্তায় নামবে। বিশৃঙ্খলা হবে।”
 
সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে জনতার মধ্যে একজন আততায়ী খানের দিকে পিস্তল তাক করছে। ঘটনার ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা যায় একজন নিরাপত্তারক্ষীকেও কন্টেইনার থেকে গুলি চালাচ্ছে। গুলিবিদ্ধ ইমরান খানকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, এরপর একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে লাহোরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহি একাধিক আক্রমণকারী থাকতে পারে বলে মত দিয়েছেন। খান শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্প্রচারিত একটি লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে দীর্ঘ বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং মেজর জেনারেল ফয়সালকে দোষারোপ করেন। ইমরান খান বলেছিলেন যে "সালমান তাসির টাইপ হত্যাকাণ্ডে" তাকে হত্যা করার একটি "ষড়যন্ত্র" সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন, ব্লাসফেমির অভিযোগে ২০১১ সালের পাঞ্জাবের তৎকালীন গভর্নরের হত্যার কথা উল্লেখ করেন। খান বলছেন, সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে রাস্তায় ফিরে আসবেন এবং সমর্থকদের চিহ্নিত তিনজন কর্মকর্তার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। তিনি বলেন, আমরা ইমরান খানকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখি, শত্রু নয়। সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং ধর্মীয় চরমপন্থা দ্বারা চালিত একমাত্র আততায়ীর উপর হত্যা প্রচেষ্টার জন্য দায়ী করেছে। খানের অভিযোগকে সামরিক বাহিনী "ভিত্তিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন" বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে তারা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সমাবেশে গুলি চালানোর সন্দেহে নাভিদ মোহাম্মদ বশিরকে আটক করা হয়েছে। তার কাছে ৯এমএম পিস্তল এবং দুটি খালি ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বশির খুব কাছ থেকে খানকে বহনকারী কনটেইনার-মাউন্ট করা ট্রাকে গুলি চালায়। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আক্রমকারীর একটি ভিডিও স্বীকারোক্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে সে বলছে, খানকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কেন তিনি গুলি চালালেন এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলে: "খান জনগণকে বিভ্রান্ত করছিল। আমি তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। আমি তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছি।" “তারা (খানের সমাবেশ) গান বাজাচ্ছিল এবং লাউডস্পিকার থেকে চিৎকার করছিল যখন প্রার্থনার আযান হচ্ছিল। আমাদের মাটিতে এটি ঘটতে আমি পছন্দ করিনি।” পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ আরও দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা ২০,০০০ টাকায় পিস্তল ও গুলি বিক্রি করেছিল নাভিদ মোহাম্মদ বশিরের কাছে।

পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের ওপর হামলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। পাকিস্তান অতীতে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে ২৭ ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে হত্যা করা হয়েছিল এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি ২০০৮ সালে একটি হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ১৯৫১ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে একটি সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।

পাকিস্তানে যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে তা অন্তত নতুন সেনাপ্রধান না আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সামরিক বাহিনী রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী, তাই নতুন প্রধান এই দীর্ঘ রাজনৈতিক সংঘর্ষের গতিপথে একটি বড় প্রভাব ফেলবে। জেনারেল বাজওয়া সেনাপ্রধান হিসেবে দ্বিতীয় তিন বছরের মেয়াদের পর ২৯শে নভেম্বর অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে তিনি হয়তো এখনও ক্ষমতার উপর তার দখল ত্যাগ করবেন না। সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এই প্রথম। সেনাবাহিনী দেশে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজওয়াও অব্যাহত রাখতে পারে। পাকিস্তানের সবাই জানে যে ইমরান তার প্রতিশ্রুতিশীল লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ, কর্পস কমান্ডার, বাহাওয়ালপুর, পরবর্তী সেনাপ্রধান বানাতে চেয়েছিলেন। জেনারেল বাজওয়া যদি এখন সেনাপ্রধান হিসাবে চালিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অসীম মুনির, যিনি প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র এবং বর্তমানে জিএইচকিউ-তে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তার সেরা সম্ভাবনা রয়েছে। ইমরান যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন মুনির ডিজি আইএসআই (পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের মহাপরিচালক) ছিলেন এবং মনে হচ্ছে তার রিপোর্ট ইমরানকে বিরক্ত করেছিল, তাই বর্তমান সরকার তাকেও বিবেচনা করতে পারে। সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর প্রতিনিধিত্বকারী দুই জেনারেল ঘোষণা করার ঠিক এক সপ্তাহ পর ইমরানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল। যদিও সেনাবাহিনী বলছে 'একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা রাজনীতির বাইরে থাকবে।' এই দাবিকে সন্দেহজনকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে, কারণ সেনাবাহিনীতে ইমরানপন্থী এবং ইমরান বিরোধী দল রয়েছে। কিছু শক্তিশালী জেনারেলের সমর্থন না থাকলে ইমরান সেনাবাহিনীর এত সমালোচনা করতে পারতেন না বলে মনে করা হয়। আগামী তিন সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগের মূল সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীই নেবেন।

পাকিস্তানের এই স্বভাব পুরোন। বাংলাদেশের সাথেও পাকিস্তান নির্মম আচরণ করেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তানে কারামুক্ত বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট গৃহীত সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, আমাকে পেলে পাকিস্তানীরা আমার হতভাগ্য মানুষদের হত্যা করবে না। আমি জানতাম, আমার দেশের মানুষ শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। আমি তাদের বলেছিলাম, প্রতি ইঞ্চিতে তোমরা লড়াই করবে। আমি তাদের বলেছিলাম, হয়তো এটাই আমার শেষ নির্দেশ। কিন্তু মুক্তি অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই তাদের করতে হবে।’ অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে বিমানে করাচি নেওয়া হয়। এর আগে জেনারেল ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সামরিক অভিযানের সাফাই গেয়ে জানালেন, ‘তিনি (শেখ মুজিব) এ-দেশের ঐক্য ও সংহতির ওপর আঘাত হেনেছেন—এই অপরাধের শাস্তি তাঁকে পেতেই হবে। ১২ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে ক্ষমতালোলুপ দেশপ্রেমবর্জিত কতক মানুষ, সেটা আমরা হতে দিতে পারি না। আমি সেনাবাহিনীকে আদেশ দিয়েছি তাদের কর্তব্য পালন এবং পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য।...আর রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।’ ৮ আগস্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান সানডে টাইমস–এর সংবাদদাতা র্যালফ শ-কে জানান যে পশ্চিম পাকিস্তানের সর্বোচ্চ শ্রেণির কারাগারে আটক শেখ মুজিব জীবিত ও সুস্থ আছেন। ধৃষ্টতাপূর্ণভাবে জেনারেল ইয়াহিয়া আরও বলেন যে আজকের পর শেখ মুজিবের জীবনে কী হবে, সে বিষয়ে তিনি ওয়াদা করে কিছু বলতে পারেন না। ‘মুজিবকে কালকেই আমি গুলি করছি না’। ইরানি সংবাদদাতা আমির তাহিরি রাওয়ালপিন্ডির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার রিপোর্টে বিচার যে অত্যাসন্ন, সেই ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশদ্রোহের অভিযোগে শেখ মুজিবের বিচার শুরু হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এতে সর্বোচ্চ শাস্তি ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড।’

গোটা বিচারকালে বঙ্গবন্ধু কার্যত আদালতের দিকে পিঠ ফিরিয়ে বসে ছিলেন। আদালতকক্ষে যা কিছু ঘটেছে, তা তিনি নিস্পৃহতা দিয়ে বরণ করেছিলেন, বিচারপ্রক্রিয়ায় আত্মপক্ষ সমর্থন তো দূরের কথা, কোনো কার্যক্রমেই অংশ নেননি। ৪ ডিসেম্বর সামরিক আদালত বিচারের রায় ঘোষণা করে, মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে। আদালতের কার্যক্রম শেষে তাঁকে নেওয়া হয় মিয়ানওয়ালি জেলে। সেখানে দণ্ডাদেশ কার্যকর করার ব্যবস্থা নেওয়া হতে থাকে। যে সেলে তিনি ছিলেন, তার পাশে কবরও খোঁড়া হয়। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং ৭ জনুয়ারি বঙ্গবন্ধুর মুক্তিলাভ ও বিজয়ী বীরের স্বদেশ ফেরেন। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম এবং ভাঙনের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মাত্র ২৮ বছর বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাঙালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম শুরু করেন, যা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সফল পরিণতি লাভ করে। দ্য ডেইলি টাইমস: ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ দ্য ডেইলি টাইমস এর সংবাদে বলা হয়েছে, বীরোচিতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের জবাব দিয়েছেন বাঙালি জাতির সর্বাধিনায়ক শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে বলেছেন, 'আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।'

বর্তমান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রধান ইমরান খান স্মরণ করেছেন কিভাবে ১৯৭১ সালে জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল কারণ একটি রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট জয়ের পরেও সাংবিধানিকভাবে শাসন করার অনুমতি পায়নি। ইমরান খান গুঞ্জরাওয়ালায় সমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনী ম্যান্ডেটের পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার কর্তৃত্ব দেওয়া হয়নি। এর ফলে পাকিস্তানের পূর্বাংশ আলাদা হয়ে যায় এবং পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ হয়ে যায়। "একজন চতুর রাজনীতিবিদ (জুলফিকার আলী ভুট্টো) তার ক্ষমতার লোভে সশস্ত্র বাহিনীকে তৎকালীন বৃহত্তম দল (আওয়ামী লীগের) বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছিলেন, যারা নির্বাচনে জিতেছিল, যার ফলে দেশটি (পাকিস্তান) ভেঙে গিয়েছিল,"। ইমরান খান পিটিআই-কে আওয়ামী লীগের সাথে তুলনা করেছেন এবং দাবি করেছেন যে "বৃহত্তর এবং একমাত্র ফেডারেল দল" হওয়া সত্ত্বেও, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকার নতুন নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ইমরান খান নিজেকে 'বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পিতা' শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তুলনা করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে দেশের পরিস্থিতি ১৯৭১-এর মতোই হচ্ছে (যা অন্য জাতি সৃষ্টি করতে বাধ্য করেছিল)।

লেখকঃ কথা সাহিত্যিক, কবি, গবেষক ও প্রাবন্ধিক।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত