আজ ফুটবলেও বাংলাদেশ আফগানিস্তান লড়াই
প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৫০ | আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫
১৯৭৯ সালে বাংলাদেশে এসে ফুটবল ম্যাচ খেলেছিল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটিও জিততে পারেনি। প্রথমটি ড্র দ্বিতীয়টিতে হেরেছিল আফগানিস্তান। ২০১৫ সালে শেষ বার বাংলাদেশে এসে খেলে গেছে আফগানিস্তান, সেবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে পারেনি। জাহিদ হাসান এমিলির গোলে এগিয়ে থাকা ম্যাচটা ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। এসব হিসাব জেনে শুনে খবর নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগান দল ঢাকায় এসেছে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য। আফগান কোচ আবদুল্লাহ আল মুতাইরি খুব চতুর। কথা বলতে চান না। কিছু প্রকাশও করতে চান না। আজ বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রীতি ম্যাচের প্রথমটি বসুন্ধরা কিংসের মাঠে।
গতকাল এই ম্যাচ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন, তাই গতকাল আফগান কোচ আবদুল্লাহ আল মুতাইরি কথা বললেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় নিয়ে কোনো কথা নয়। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কোচ যা বললেন, ‘আমি মনে করি, সাফ অঞ্চলে বাংলাদেশ পরবর্তী পরাশক্তি। তাদের বিপক্ষে আমাদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগের ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, দুই ম্যাচ দুই দলের জন্যই ভীষণ কার্যকরী হবে। আমাকে জিগ্যেস করবেন না কে জিতবে। আমি এখানে এসেছি কেবল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে। আমার কাছে স্রেফ প্রীতি ম্যাচ আর কিছু না।’ কথাটা বলে নিঃশ্বাস নিয়ে কোচ মুতাইরি বললেন, ‘আপনি ১০-০ গোলে জিততে পারেন, ১০-০ গোলে হারতেও পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অফিশিয়াল ম্যাচ। আমি এখানে এসেছি মঙ্গোলিয়া ম্যাচের জন্য আমার খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করতে। তাই ওদের ওপর কোনো চাপ দিচ্ছি না। মাঠে নামব ফুটবল উপভোগের জন্য, ৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচ। সেদিনও ফুটবল উপভোগ করব এবং ইনশাল্লাহ, ভালো ফল দিয়েই এটা উপভোগ করব আমরা।’ শেষ কথাটায় পরিষ্কার হলো বাংলাদেশের মাঠে জয় নিয়ে ফিরতে চান আফগান কোচ। র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আফগানিস্তান। কিন্তু এটা আজ আফগানিস্তানের কাছে আলোচনার কিছু না। ঘরের মাঠে নতুন, মাঠে নতুন বাংলাদেশ মাঠে নামবে আজ। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় খেলা শুরু হবে বিকাল ৫টায়।
শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানকে হারাতে সাহস দেখাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। তার কাছে রশদ হচ্ছে ভালো প্রস্তুতি। সাফ খেলে আসা দল, আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলার এএফসি কাপের খেলা খেলে এসেছে খেলার মধ্যে থাকার পরও এখন জাতীয় দলে অনুশীলনে ১১টি সেশন হয়েছে। এখানেই কোচের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। কিংসের ডেরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হ্যাভিয়ের কাবরেরা বললেন, ‘খেলোয়াড়দের মানসিকতা এখন খুবই উঁচুতে। অনুশীলনে নিয়ে আমরা খুবই ইতিবাচক এবং আমাদের সামনে দারুণ চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। সাফে আমরা যে পারফর্ম করেছি, সেটার ধারাবাহিকতা দেখানোর জন্য মুখিয়ে আছি।’ আফগানিস্তান কোচ যেমনটি জানিয়েছেন তারা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন তেমনি বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরাও জানিয়েছেন, ‘অবশ্যই আমাদের লক্ষ্যও বিশ্বকাপ বাছাই। শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে প্রস্তুতি নিয়ে বাছাইয়ে মালদ্বীপ ম্যাচে নামা। আমরা এগিয়ে যেতে চাই, ফিফা র্যাংকিংয়ে উঁচুতে উঠতে চাই।’
এবার বাংলাদেশ দলে তরুণ এবং অভিজ্ঞ ফুটবলাদের মিশেলে গড়া। এটা নিয়ে অধিনায়ক জামাল বললেন, ‘এবার স্কোয়াড অনেক বড়, অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে। ওরা ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে, ভালো অনুশীলন করেছে। এখন লক্ষ্য হচ্ছে আফগানিস্তান। সাফে আমরা যে পারফরম্যান্স করেছি, সেই লেভেল ধরে রাখার লক্ষ্য আমাদের। যদি সাফের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারি, আশা করি আমরা জিতব।’ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম নিয়ে জামাল বললেন, ‘আপনারা যদি দেখেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে সমর্থকরা খেলোয়াড়দের থেকে অনেক দূরে বসে খেলা দেখেন। কিন্তু কিংস অ্যারেনায় গ্যালারি খুব কাছাকাছি। এখানকার আবহ হবে ভিন্নরকম, খেলাটা উপভোগ করতে পারবেন।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত