হাসিমুখে সেবা দিতে হবে- নবীন বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রতি পার্বত্য সচিব মশিউর রহমান এনডিসি

  প্রেস রিলিজ

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১৬:০৬ |  আপডেট  : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৬

সংশ্লিষ্ট সকলকে হাসিমুখে সেবা দিতে হবে। সেলসম্যান যেভাবে হাসিমুখে ক্রেতাকে সন্তুষ্ট করে থাকেন, ঠিক একইভাবে হাসিমুখে জনসেবা প্রদান করতে হবে সবাইকে। সততা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে জনসেবা প্রদানের কাজ নিশ্চিত করতে হবে। সততা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতার কোনো একটির ঘাটতি হলেই তা হবে অসম্পূর্ণ। কোনোভাবেই তাকে প্রকৃত সেবা প্রদানকারী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না।

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যোগদানকৃত ১২ জন প্রশিক্ষণার্থীর উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি এসব কথা বলেন।

সচিব মশিউর রহমান এনডিসি প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদর স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ১৭ কোটি জনগণের টাকায় রাষ্ট্র চলে। কাজেই একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি ও সেবক হিসেবে সকলকে দায়বদ্ধতার মধ্যে থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ এর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।

সচিব মশিউর রহমান আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ অন্য ১০টি মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিবেশের মতো নয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করে থাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রশিক্ষণার্থীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো, কার্যাবলী ও সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেন পার্বত্য সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি।

প্রশিক্ষণের পরবর্তী সেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশ্লেষণ করে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাকৃতিকগতভাবে রয়েছে ব্যতিক্রর্মী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও দুরদৃষ্টি নেতৃত্বে পার্বত্য শান্তি চুক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ফসল হিসেবে ১৯৯৮ সালের ১৫ আগস্ট গঠন করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ মন্ত্রণালয় পার্বত্য অঞ্চলের জন্য যুগোপযোগী নীতি কৌশল গ্রহণ, পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে উন্নয়ন বরাদ্দ প্রদান, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

উন্নয়ন উইং-এর আওতাধীন শাখাসমূহের কার্যাবলী সম্পর্কে ধারণা দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি। প্রশাসন উইং-এর আওতাধীন শাখাসমূহের কার্যাবলী সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীদের দারণা প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আলেয়া আক্তার ও উপসচিব সজল কান্তি বনিক।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, উপসচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ, উপসচিব মালেকা পারভীন, উপসচিব মোঃ আলাউদ্দিন চৌধুরী, উপসচিব কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, সচিবের একান্ত সচিব মোঃ শফিকুর আলম, ১২ জন প্রশিক্ষণার্থী, লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সমন্বয়কারী, সুপারভাইজিং কর্মমর্তা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ছয়মাস মেয়াদি ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে ৬০২ জন নবীন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গ্রুপভিত্তিক প্রশিক্ষণার্থীদের দুদিন ব্যাপী সংযুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের সিডিউল তৈরি করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৩০ ও ৩১ আগস্ট ১২ জন নবীন প্রশিক্ষণার্থীর প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০.০০টা থেকে বিকাল ০৪.০০টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলমান থাকবে।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত