গজারিয়া ৩ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিকল্পিত হত্যা দাবি স্বজনদের
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৩ | আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৪৮
মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া উপজেলা গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ বর্তমানে গজারিয়া থানায় রয়েছে। নিহতের গায়ে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।’মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
গায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা। নিথর অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারীর নাম মাহমুদা আক্তার (৩৮), যিনি গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের ইমরানের স্ত্রী।
পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের মাহমুদার সঙ্গে একই ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের ইমরানের বিয়ে হয়। ৯ বছরের সংসার জীবনে তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। মাহমুদার স্বামী ইমরান সৌদি আরব প্রবাসী। প্রায় এক মাসে আগে তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসেন।
প্রতিবেশী কয়েকজন জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। সর্বশেষ শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া এবং মাছ কাটা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মাহমুদাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা।পরে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
মাহমুদার মা মর্জিনা বেগম বলেন, ‘শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমার মেয়ে জামাই আমাকে কল দেয়। মোবাইল ফোন আমাকে লাইনে রেখে সে আমার মেয়েকে মারধর করতে থাকে। সকাল ১০টার দিকে দিকে আমার মেয়েকে দ্বিতীয় দফা মারধর করা হয়। আমার ধারণা এ সময়ই সে মারা যায়।
‘বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে তার লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলানো হয়েছে। ঘটনার পর মেয়ে জামাই ও তার বড় ভাই কৌশলে পালিয়ে যায়। আমার মেয়েকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে তাদের পালিয়ে যাওয়া প্রমাণ করে, তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।’
নিহতের ভাশুর ওয়াসিম বলেন, ‘মেয়েটির রাগ অনেক বেশি ছিল। আমার ছোট ভাই সেটা মেনে নিয়ে সংসার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আজ সকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে সে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করি।
‘এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর সে আবারও ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর জানালা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পাই আমরা।’
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ বর্তমানে গজারিয়া থানায় রয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত