সুন্দরবন দস্যুমুক্ত দিবসের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুন্দরবনসহ কোথাও কাউকে আর ডাকাতিবৃত্তি করতে দেয়া হবে না
প্রকাশ: ১ নভেম্বর ২০২১, ১৯:২৯ | আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:০৮
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছের, প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করতে পেরেছি। সুন্দরবন অ লসহ কোথাও কাউকে আর ডাকাতিবৃত্তি করতে দেয়া হবে না। এ এলাকায় র্যাবের একটি স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। যাতে এই অ লে নতুন করে আর বনদস্যু তৈরি বা যারা আত্নসমর্পন করেছে তারা পূর্বের পেশায় ফিরে যেতে না পারে। একই সাথে কোস্টগার্ডকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে আরো শক্তিশালী করা হবে।
আজ সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের রামপাল ডিগ্রি কলেজ মাঠে র্যাব আয়োজিত সুন্দরবন দস্যুমুক্ত দিবসের তৃতীয় বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এক সময় সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালী ও মৌয়ালরা বনদস্যুদের হাতে জিম্মি এবং প্রায়ই বনদস্যুদের হাতে তাদের জীবন হারাতে হতো। দস্যুমুক্ত সুন্দরবনে এখন শান্তির সুবাতাস বইছে।
র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পীর ফজলুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি গোরিয়া ঝর্না, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো: ইসমাইল হোসেন এনডিসি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে র্যাব-৬ ও র্যাব-০৮ এর অধিনায়কগন, বাগেরহাট জেলাসহ স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা এবং উপকার ভোগী পুর্নবাসন সহায়তাপ্রাপ্ত ৩শ ২৬ জন সাবেক বন ও জলদস্যু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ¯^রাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের ১০২টি ঘর, ৯০টি মুদি দোকান (মালামালসহ), ১২টি জাল ও মাছ ধরার নৌকা, আটটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং গবাদিপশু হস্তান্তর করেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত