আজ মুন্সীগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস

  লিটন মাহমুদ

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:৩৮ |  আপডেট  : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:২৬

১১ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধাদের জয় বাংলা স্লোগানে আর বিজয় মিছিলে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে চারোদিক। পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতি বিধৌত মুন্সীগঞ্জ জেলাটি শত্রু মুক্ত হয়। জেলার সর্বত্র আনন্দ-উল্লাসের পাশাপাশি শুরুহয় হারানো স্বজনদের খোঁজার পালা। কেউ জীবিত পেয়েছেন স্বজনদের আবার কেউ চিরতরে হারিয়েছেন আপনজনদের।

কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর সদর উপজেলার পঞ্চসারে বর্তমানে আনসার ক্যাম্পের কাছে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর চুড়ান্ত যুদ্ধ হয়। পাক সেনাদের তিনটিবড় দলের সঙ্গে সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশ নেয়। সেদিন ধলেশ্বরী নদীতে থাকা গানবোট থেকে মর্টার সেলিং করছিল পাক সেনারা। মিত্র বাহিনীর বিমানবহর এসে পড়লে পাক সেনারা পিছু হটে। পরে মিত্রবাহিনীর আক্রমণে পাক সেনাদের গান বোট বিধ্বস্ত হয়। 

এতে ১৪-১৫ জন স্থানীয় নিরীহ মানুষ মারা যায়। এতে চারজন পাকিস্তানি সেনা ও তিন জন রাজাকার নিহত হয়।

এরপর ১০ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঘন অন্ধাকার আর প্রচণ্ড শীতে হানাদার বাহিনী হরগঙ্গা কলেজ ক্যাম্পের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। হরগঙ্গা কলেজে ছিল হানাদার বাহিনীর প্রধান ক্যাম্প।নির্যাতন-হত্যা ছাড়াও অসংখ্য নারী সম্ভ্রম হারায় এখানে। ক্যাম্পে বসেই নীল নকশা করে ক্যাপ্টেন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে হানাদার বাহিনী। ভোর হওয়ার আগেই কলেজের সুরক্ষিত দূর্গ থেকে হানাদার বাহিনী মুন্সীগঞ্জ থেকে পালিয়ে যায়। পরে মুক্তিযোদ্ধারা কলেজে গিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় জেলা শহরসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে দেখা দেয় বিজয়েরউল্লাস।

দিনটি উপলক্ষে জেলাপ্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত