সিলেটের বাতাস সবচেয়ে ভালো, খারাপ ঢাকার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৯ |  আপডেট  : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২০

বায়ুর মানে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে সিলেট। আর সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে রাজধানী ঢাকার দারুসসালাম এলাকা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে রিয়েলটাইম পাওয়া ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরগুলোর বায়ুর মানের তালিকা থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

বায়ুর মান মনিটরিং করতে ঢাকা, আগারগাঁও, ফার্মগেট বিএআরসি, দারুসসালাম, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, সিলেট, কুমিল্লা, রংপুর, চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্র, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনাতে মোট ১৬টি কন্টিনিউয়াস এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম (সিএএমএস) স্থাপন করা হয়েছে। 

এসব সিএএমএস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে আজ সোমবার সকাল ৯টায় বায়ুর মান সবচেয়ে ভালো ছিল সিলেটে। সিলেটের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৩৬। আর সবচেয়ে খারাপ বায়ুর মান ছিল ঢাকার দারুসসালামে। দারুসসালামের একিউআই স্কোর ১৮৮।

সাধারণত ০ থেকে ৫০ একিউআই স্কোর ভালো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

অন্যদিকে ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে দারুসসালামের পর খারাপ অবস্থানে আছে সাভার। ঢাকা ও গাজীপুরের একিউআই স্কোর ১৬৭, আগারগাঁও ১৫৬, ফার্মগেট বিএআরসি ১৫৬, নারায়ণগঞ্জ ১১৭, ময়মনসিংহ ১৬১, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ৯৩, কুমিল্লা ৯২, রংপুর ১৬৪, চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্র ১৫৫, রাজশাহী ১৫৮, বরিশাল ১৫৩ এবং খুলনা ১৫৫।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউল হক ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, এখন থেকে খুব সহজেই ওয়েবসাইট থেকে বায়ুর মান জানা যাবে। ওয়েবসাইটে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় এই তথ্য হালনাগাদ হবে। আপাতত ১৬টি সিএএমএস কেন্দ্র থাকলেও দ্রুত এই সংখ্যা বাড়ানো হবে।

ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরগুলোর বায়ুমান পরিবীক্ষণের লক্ষ্যে রোববার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। 

সভায় রাজউক, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ উন্নয়ন কাজের সঙ্গে জড়িত সরকারের দপ্তরগুলোকে নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসা বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার ক্ষেত্রেও যাতে বায়ুদূষণ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।

কা/আ

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত