লক্ষ্যমাত্রা ৩৫৩ হেক্টর
কাউনিয়ায় মানস নদীতে বীজতলায় সবুজের সমারোহ
সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:১০ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৪৫
কাউনিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা আকা বাঁকা মানাস নদীতে চলতি মৌসুমে বোরো বীজতলায় সবুজের সমারোহ। যতদুর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজের গালিচা।
সরেজমিনে নদী তীরবর্তি বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখাগেছে কুয়াশার রোদে মানাস নদীর পাশ দিয়ে হেটে গেলে সবুজ গালিচা দেখে চোখ জুরিয়ে যায়। স্থানীয় কৃষকরা তাদের আপন মহিমায় মনের মাধুরি মিশিয়ে ইরি বোরো ধান চাষ করার জন্য মানাস নদীর বুকে ধানের বীজতলা তৈরী করেছে। প্রতিবছর চারা বীজ সংকট দেখাদেয়, সেই সংকট মোকাবেলায় কৃষকরা এবার মানাস নদীতে পানি না থাকায় চাহিদার চেয়ে বেশী বীজতলা তৈরী করেছে। কৃষকরা আশা করছেন প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে ধানের চারার কোন সংকট হবে না। লালমসজিদ এলাকার কৃষক ইসমাইল হোসেন বাবু জানান, মানস নদীতে এবার খুব সহজেই বীজতলা তৈরী করা গেছে। কৃষক রফিকুল জানান, নদীতে কম পানি এবং কাদা থাকায় অল্প খরচেই বীজতলা তৈরী করা গেছে। বর্তমানে চারাবীজের অবস্থাও ভাল। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানিয়া আকতার জানান, চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা ৭ হাজার ৫শত ৪৩ হেক্টর জমির বিপরিতে বীজতলা তৈরী লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৫৩ হেক্টর, এর মধ্যে হাইব্রীড ১০০ এবং উপশি ২৪৩ হেক্টর। বর্তমানে অর্জন হয়েছে ৩৪৩ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে বীজতলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে মানাস নদীতে চাষিরা বেশী বীজতলা করেছে। এছাড়াও কৃষি বিভাগ থেকে সরকারী প্রনোদনা হিসেবে হাইব্রীড ধানের বীজ চাষিকে দেয়া হয়েছে। বীজতলা তৈরীতে কৃষদের সবধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। অতিরিক্ত কুয়াশায় বীজতলা যেন নষ্ট না হয় সেজন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে বলা হচ্ছে চাষিদের। আশা করছি মাঠে যে পরিমান চারা বীজ আছে তাতে চারার সংকট হবে না।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত