সিরাজদিখানে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি

  সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১৮:৫৯ |  আপডেট  : ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১২

মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলায় রশুনিয়া ঈমামগঞ্জ রাস্তা এলাকায় মাটি কেটে নেওয়ায় ফসলি জমিতে বড় গর্তের সৃষ্ট হয়েছে আওয়ামী লীগের এক সমর্থকের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন কৃষকের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাটি কেটে নেওয়ায় এসব জমিতে কয়েক বছর ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। ব্রজের হাটী গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন  মাটি কাটার ঘটনায় জড়িত ওই ব্যক্তির সঙ্গে জেলার সরকারদলীয় কয়েকজন বড় নেতার সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন তার নাম বলা যাবে না। প্রশাসন যদি মাটি কাটার যন্ত্র ভ্যাকু আটক করে তাহলেই তাকে ধরতে পারবেন। 

এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরীফুল আলম তানভীর বলেন, ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তারপরও ওই ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, ছয় মাস ধরে আওয়ামীলীগ নেতাদের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন শ্রমিক নিয়োগ করে নেতারা উপস্থিত থেকে ফসলী জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা প্রতিদিন ১০-১৫ ট্রাক মাটি বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছেন। এসব মাটি রাস্তা ভরাট, বসতঘর নির্মাণ, বিভিন্ন ইটভাটাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

 শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়,  উপজেলায় রশুনিয়া ঈমামগঞ্জ রাস্তা এলাকায়  এলাকায় ২০-২৫ একর ফসলি জমি থেকে এ·কাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। এতে জমির বিভিন্ন স্থানে ৭-৮ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রশুনিয়া  গ্রামের আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, ফসলী জমির মাটি কাটতে বাধা দিলে তাঁর (আওয়ামীলীগ নেতার) বাহিনী দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। ঈমামগঞ্জ  গ্রামের কৃষক সফিক রহমান বলেন, কিছু টাকা দিয়ে তাঁর জমির থেকেও এ·কাভেটর দিয়ে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। মাটি তুলে বিক্রি করে দেওয়ায় প্রভাবশালীরা লাভবান হলেও তাঁর জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার তিনি ওইসব জমিতে কোনো চাষাবাদ করতে পারেননি। 

সিরাজদিখান পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি কামাল হোসেন মাতবর বলেন, কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে ফেলায় এর উর্বরতা হারিয়ে যায়। তবে ভূমিদস্যুরা যেভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে, তাতে ওই সব এলাকার কৃষক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ ছাড়া ওই এলাকার রাস্তা ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে ফসরী জমির শ্রেণি পরিবর্তনও হয়ে যাবে।  বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত