সাবেক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা, প্রতিবাদে বাগেরহাটে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ: ৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:১৯ | আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১১

বাগেরহাটের কচুয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ধোপাখালি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদেরকে আসামী করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সাবেক এই ছাত্রনেতা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে, ধোপাখালি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মাঝি ও আব্দুল কাদেরের ভাই বাবু মাঝি উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল কাদের কচুয়া উপজেলার মাধবকাঠি গ্রামের আতিকুর রহমান হাওলাদারের ছেলে। তার দাবি, তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ধোপাখালি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগের আমলে তার বিরুদ্ধে ১৪টি ষড়যন্ত্রম‚লক নাশকতা মামলা ছিল। এসব মামলায় তিনি অন্তত ৪বার কারাভোগ করেছেন বলে জানান তিনি।
আব্দুল কাদের হাওলাদার বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর আড়িয়ামর্দন গ্রামের ছালাম শেখ নামের এক ব্যক্তি কচুয়া থানায় নাশকতা (বিশেষ ক্ষমতা আইনে) মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে ৩২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি দাবি করেন, তিনি ওইদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না এবং এমন কোনো ঘটনা ঘটেছিল বলেও জানেন না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও আমি হামলার শিকার হয়েছি, মামলা খেয়েছি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন আবার অন্তর্র্বতী সরকারের সময়েও আমার নামে মিথ্যা মামলা হচ্ছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই মামলা থেকে রেহাই রক্ষাপেতে পুলিশ প্রশাসন ও বিএনপি নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাবেক এই ছাত্রনেতা।
আব্দুল কাদের হাওলাদার এসময় এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং পুলিশ প্রশাসন ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন।মামলায় শুধু আব্দুল কাদের নয় বিএনপির অন্তত ১৫ জন কর্মীকে আসামী করা হয়েছে বলে জানান সংবাদ সম্মেলনকারীরা।
মামলা স‚ত্রে জানাযায়, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকনসহ এজাহারনামীয় ৯৮ জন এবং অজ্ঞাতনা ১০০-১৫০জনকে আসামী করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে এবং আসামীরা ঐকত্রিত হয়ে ছাত্রজনতাকে ফাসানোর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপ‚র্ণ স্থাপনা ধ্বংস করতে থাকে। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েখটি বোমা বিস্ফোরন ঘটায় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক গুলি ছোড়ে। কারাগারে থাকা কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
এদিকে নাম প্রক্যাশে অনিচ্ছুক সাইনবোর্ড এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সাইনবোর্ড এলাকায় কোন স্থাপনা ধ্বংস বা বোমা বিস্ফোরন অথবা গুলির ঘটনা ঘটেনি। লোকজন জড়ো হওয়ার খবরও জানেন না তিনি।
মামলায় বিএনপির লোকদের আসামী করার বিষয়ে মুঠোফোনে মামলার বাদী মোঃ সালাম শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আপতত এ বিষয়ে কোন কথা বলব না।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ শামীম আহমেদ খান বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের পরে বলা যাবে কাদের সম্পৃক্ততা, আর নেই।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত