লৌহজং ইউপি নির্বাচন: নৌকার পালে হাওয়া!
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২২, ০৭:৩২ | আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২০
রাত পোহালেই লৌহজং - তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল প্রচার কাজ আইনত শেষ করা হয়েছে।
লৌহজং - তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে। আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম মোল্লা—নৌকা, বিদ্রোহী প্রার্থী মামুন বেপারী—মটর সাইকেল ও শফিকুল ইসলাম মাদরব—আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ তিনজন প্রার্থীর লড়াই এখন তুঙ্গে। গত ইউপি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে নিজদের ভুল ভ্রান্তিকে দুরে ঠেলে উপজেলা আওয়ামীলীগ তার সকল সহযোগী সংগঠন ও অঙ্গ সংগঠন কার্যত এখন এক কাতারে সামিল।
সাধারণ মানুষ সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ, তবে বাহ্যিক দৃষ্টিতে নৌকার অবস্থা এখন অনেকটা ভাল। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধাগন একজোট হয়ে নৌকার প্রার্থীর জন্য মাঠে রয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি বিএম শোয়েব জানান, সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করছে। তবে আমরা জয়ী হব এ আশা নিয়েই কাজ করছি। এখানে এখনো তৃপ্তির কোন কারণ নেই, কারণ আমরা এ আসনটি ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর দিন আমাদের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির মাধ্যমে মানননীয় প্রধান মন্ত্রীকে লৌহজংবাসী উপহার হিসাবে দিতে চাই।
এ অভিমতের সাথে লৌহজং উপজেলার আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মী ঐক্যমত পোষণ করলেও, প্রতিদ্বন্দ্বি অপর দুই প্রার্থীদের কেউ খাটো করে দেখছেন না।
সারাদিন নৌকা- মটর সাইকেল-আনারসের প্রচার মিছিল শেষ হয়েছে। বাড়ী বাড়ী যেয়ে ভোট প্রার্থনা অব্যাহত রয়েছে তিন প্রার্থির। দুএকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পরিবেশ শান্ত।
তিনজন প্রার্থী অবাধ ও শান্তিপুর্ন পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রশাসনকে সাহায্য করছেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক মোল্লা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাব্রীজ ও লৌহজং- তেউটিয়া অঞ্চলে নদীশাসন রোধ সহ যে সকল কর্মসূচী শুরু করেছে তা বাস্তবায়নে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে লৌহজংয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করুন।
তিনি বলেন, বিগত দিনে সততা নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছি, তবে হয়ত সবার মনোবাসনা তিনি পুরণ করতে পারেনি।কাজ করতে গেলে ভুল ভ্রান্তি থাকবে, কাজের ক্ষেত্রে সততা নিয়েই কাজ করেছি। রফিক মোল্লা এলাকার মানুষদের সকল ভুল ভ্রান্তিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেছেন।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের ইতোমধ্যে দল হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কার হাসি কে হাসে এ আশা নিয়ে সাধারণ ভোটারগন ১৫ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় নৌকার পালে হাওয়া লাগতে পারে। ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে ইভিএম পদ্ধতিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নির্বাচনের দিন ও পরে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা গ্রহন করেছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত