কমিউনিটি লিডার হিসেবে রাষ্ট্রীয় “প্রবাসী সম্মাননা ২০২৫” ভূষিত হলেন কাউন্সিলর আয়াছ মিয়া

  শ‌হিদুল ইসলাম, প্রতি‌বেদক, সি‌লেট

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৫২ |  আপডেট  : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৩৪

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে অসাধারণ অবদান রেখেছেন, তাদের মধ্যে কাউন্সিলর মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া উজ্জ্বল একটি নাম। ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি লিডার হিসেবে তার সাফল্য যেমন ঈর্ষণীয়, তেমনি সমাজসেবক ও মানবতাবাদী হিসেবে তার অবদান অনুকনরণীয়। যুক্তরাজ্যের মাটিতে বাংলাদেশি ঐতিহ্যকে প্রতিষ্ঠিত করা থেকে শুরু করে মাতৃভূমিতে শিক্ষা ও সমাজসেবা সম্প্রসারণ সর্বত্র তার উপস্থিতি মানবকল্যাণের প্রতীক।

যুক্তরাজ্যে সফল ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও সমাজসেবীর ভূমিকা পালন করা কাউন্সিলর মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া “প্রবাসী সম্মাননা ২০২৫” অর্জন করেছেন। এটি শুধু তার পেশাগত সফলতার স্বীকৃতি নয়, বরং প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃত্ব, অধিকার আদায় এবং সামাজিক উন্নয়নে তার অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।

প্রবাসী সম্মাননা ২০২৫ প্রাপ্ত এই কমিউনিটি লিডার প্রমাণ করেছেন যে দৃঢ়সংকল্প, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মিলিয়ে একজন মানুষ তার সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কতটা প্রভাবশালী হতে পারে। কাউন্সিলর মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা: সীমাবদ্ধতা নয়, সাহস, পরিশ্রম ও প্রতিশ্রুতি নিয়েই গড়ে ওঠে নেতৃত্ব।

প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সিলেট জেলার কিছু সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিকে সম্মাননা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রবিবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদেরকে সম্মানিত করা হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সম্মাননা প্রদান ও সেমিনার। সম্মাননা প্রদানের ৬ ক্যাটাগরির মধ্যে ছিল- সফল পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, কমিউনিটি নেতা, নারী উদ্যোক্তা, খেলাধুলায় সাফল্য অর্জনকারী ও বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে ভূমিকা রাখা।

সম্মাননা প্রদানের লক্ষ্যে এই ৬ ক্যাটাগরিতে প্রবাসীদের কাছ থেকে আবেদন ও জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করে সিলেট জেলা প্রশাসন। এরপর বাছাই করা হয়  কিছু সংখ্যক প্রবাসীকে। সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় কিনব্রিজের উত্তরপ্রান্ত থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। পরে অডিটোরিয়ামে প্রবাসীদের সংবর্ধনা প্রদান ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সচিব আব্দুন নাসের খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য সিলেটে এনআরবি বিনিয়োগ জোন হতে পারে। পাশাপাশি সিলেটে একটি এনআরবি স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী, পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম। সন্ধ্যায় প্রবাসীদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাদের অব্যাহত ভালোবাসা, সহযোগিতা ও সমর্থনই আমার পথচলার প্রধান প্রেরণা ও শক্তি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত