মুন্সীগঞ্জে সংক্ষিপ্ত আদালতের বিচারিক ক্ষমতা অর্পণে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

  লিটন মাহমুদ,মুন্সীগঞ্জ-

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:০৫ |  আপডেট  : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:৫০

মুন্সীগঞ্জে বিচারিক আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সংক্ষিপ্ত আদালত (সামারি ট্রায়াল) পরিচালনার জন্য বিচারিক ক্ষমতা অর্পণ করেন মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (১৭ নভেম্বর) থেকে সংক্ষিপ্ত আদালত পরিচালনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

গেল রোববার মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয়ের (প্রশাসন শাখার) অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আদেশে বলা হয়েছে জনস্বার্থে ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত আমল গ্রহণকারী আদালত সমূহের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দকে সামারি ট্রায়াল পরিচালনার নিমিত্ত আমলী অধিক্ষেত্র এলাকায় সামারি ট্রায়ালযোগ্য মামলা সরাসরি নিজ বিচার ফাইলে বদলি করে বিচার করার ক্ষমতা অপর্ণ করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সামারি ট্রায়ালের বিচার করার পদ্ধতি কার্যকর করা হলে ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আসামীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কিংবা আসামীর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষীদের জবানবন্দী ও জেরা গ্রহণ করে একই অধিবেশনে মামলা সমাপ্ত করে দ্রুত রায় প্রদান করা সম্ভব।

সারাদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তাতে মোবাইল কোর্ট আইনের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ঘটনাটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সম্মুখে ঘটতে হবে এবং আসামীকে স্বীকারোক্তি প্রদান করতে হবে। আসামীর স্বীকারোক্তি ব্যতীত মোবাইল কোর্ট কোন সাজা প্রদান করতে পারে না।

এ ক্ষেত্রে সামারি ট্রয়ালের মাধ্যমে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অপরাধ সংঘটিত হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাক্ষীদের জবানবন্দি ও জেরা লিপিবদ্ধ করে এবং কার্যকরীভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারেন। আসামী স্বীকারোক্তি না করলেও সংক্ষিপ্ত আদালত (সামারি ট্রায়ালে) সাজা প্রদান করা যায়। এক্ষেত্রে ঘটনাটি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ঘটার কোন বাধ্যবাধকতাও নেই। ফলে একদিকে যেমন স্বল্পতম সময়ে ন্যায় বিচার করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে আদালতের মামলা জট নিরসন হবে। এতে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় হবে এবং জনগনের ভোগান্তি কমবে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সমিতির ১নং সদস্য অ্যাডভোকেট আর্শেদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে যেই বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা অতি প্রশংসনীয়। এতে করে যেমন অপরাধের বিচার অতি সহজে পাওয়া যাবে ঠিক তেমনি আদালতের মামলার জট এবং বিচারপ্রাথী জনগনের ভোগান্তি কমবে। 

এ ব্যাপারে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো. আবু হানিফ বলেন, গতকাল রবিবার সিজেএম স্যারের স্বাক্ষরিত সামারি ট্রায়াল পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণের অফিস আদেশ চুড়ান্ত হওয়ায় আজ সোমবার থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত