বেশিরভাগ মডেলদের হাতে সারাক্ষণ হয় জ্বলন্ত সিগারেট-নয়তো গাঁজা!

  বিনোদন ডেস্ক:

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২২, ১২:৫৬ |  আপডেট  : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২২

কলকাতার ছোট পর্দা বড় পর্দায় এখন আত্মহত্যা আতঙ্ক। একের পর এক মডেল আত্মহত্যা করায় বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে সবাই। কি কারণে ঘটছে এমনটি? কেনই বা এই অকাল পরিণতি। এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন কলকাতার শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির রূপটান শিল্পী বা মেকাপ আর্টিস্ট হেমা মুন্সী। তার অন্যতম বৈশিষ্ট হলো- তিনি মডেলদের দেখছেন খুব কাছ থেকে। 

সম্প্রতি পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুষা নিয়োগীর পরে রবিবার একইভাবে ঝুলন্ত মরদেহ মিলেছে সরস্বতী দাসেরও। সরস্বতী পেশায় মডেল এবং রূপটান শিল্পী।

হঠাৎ কেন এমন অকাল ও অযাচিত মৃত্যু? বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট না বললেও মডেলদের লক্ষ্যভ্রষ্টের পেছনে অযাচিত নেশা গ্রহণকেই দায়ী করছেন হেমা। তার মতে, ‘এখন সবাই মডেল। কলকাতার অলিতেগলিতে এখন ব্যাঙের ছাতার মতো মডেলিং, অভিনয় শেখানোর স্কুল। সেখান থেকে যারাই পাশ করে বেরোচ্ছে, তারাই নাকি মডেল-অভিনেত্রী! ইদানীং ইনস্টাগ্রামের রিল ভিডিওতে যারা যুক্ত, তারাও নাকি মডেল!’

হেমার দাবি, ‘এরা নেশার ঘোরে কী যে করে বসছে! এতে ইন্ডাস্ট্রির বদনাম হচ্ছে। সত্যিই কি অভিনয় বা মডেলিং দুনিয়া এতটাই খারাপ হয়ে গেছে? নষ্ট হয়ে গেছে পরিবেশ, পরিস্থিতি? সে কথা সরাসরি না বললেও সুপার মডেল মাধবীলতা, নয়নিকা চট্টোপাধ্যায়দের সময়ের সঙ্গে যে অনেকটাই পার্থক্য, তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন হেমা।  


 
বলেছেন, ‘মাধবীলতা, নয়নিকারা প্রচণ্ড নিয়ম মেনে চলতেন। নিজেদের যত্ন নিতেন। পেশার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। এই প্রজন্মের মধ্যে সেই মানসিকতা দেখতে পাই না। ’

সম্প্রতি একটি বড় বাজেটের বিজ্ঞাপন-ছবিতে মেকাপ আর্টিস্টের কাজ করেছেন হেমা। বিজ্ঞাপনের প্রধান চরিত্রে রয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তাকে ঘিরে মডেল দুনিয়ার ভাষায় এক ঝাঁক ‘ক্রাউড মডেল’। ‘ভিড়’ বাড়াতে সাধারণত যাদের ব্যবহার করা হয়। হেমার কথায়, ‘এদের দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, এত ভিড়ের মধ্যে ক’জন নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে? বেশির ভাগই একটা-দুটো কাজের পরেই হারিয়ে যায়। ’ 

একই সঙ্গে তার দাবি, ‘বেশির ভাগেরই কাজে একেবারে মন নেই। হয় হাতের দামি ফোনেই সারাক্ষণ ব্যস্ত, নয়তো এসেই বলতে থাকে যাব যাব। অমুক সময়ে ছেড়ে দিতে হবে। কাজ আছে।’ রূপটান শিল্পীর কৌতূহল, ‘এরা কি জৌলুসের লোভে মডেলিংয়ে এসেছে? মডেলিং এদের ধ্যান-জ্ঞান নয়। কথা শুনে মনে হয়, এরা একাধিক বিষয়ে যুক্ত।’

এই প্রজন্মের মডেলদের বিরুদ্ধে হেমার অনুযোগ আরো। তার বক্তব্য, অবসরে এদের বেশির ভাগের হাতে সারাক্ষণ হয় জ্বলন্ত সিগারেট, নয়তো গাঁজা! এ ব্যাপারে তিনি মূলত আঙুল তুলেছেন শহরতলি থেকে আসা ছেলে-মেয়েদের দিকে। হেমার কথায়, ‘শহরে যারা পরিবারের সঙ্গে থাকে, তারা কিন্তু এত নেশা করে না। এতটা বিশৃঙ্খলও নয়। কারণ তাদের শাসন করার জন্য তাদের পরিবার থাকে। যারা বাইরে থেকে শহরে কাজ করতে আসছে, তারাই ভেসে যাচ্ছে। শেষে সব দিক সামলাতে না পেরে ফুরিয়ে যাচ্ছে। ’ 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত