বগুড়ায় জায়গা জবরদখল চেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন  

  নাজমুল হুদা

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৩, ২০:০৭ |  আপডেট  : ১৫ মে ২০২৪, ০০:১৫

বগুড়ার নন্দীগ্রামে জায়গা জবরদখল চেষ্টার অভিযোগে আঞ্জুয়ারা নামে এক ভুক্তভোগী মহিলা সংবাদ সম্মেলন করেছে। 

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে নন্দীগ্রাম প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কহুলী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে ভুক্তভোগী আঞ্জুয়ারা। 

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫৬৩(১২)১৩-১৪নং বন্দোবস্ত কেসমূলে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কহুলী মৌজার ১নং খতিয়ানভূক্ত সাবেক ২০৮ ও হাল ৭৬৯, ৭০০ দাগের ১২ শতক সম্পত্তি লিজ গ্রহণ করে ভোগদখল করে আসছি। 

এমতাবস্থায় কহুলী গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান, মৃত আশরাফ আলী আকন্দের ছেলে তাইজুল ইসলাম আকন্দ, মৃত মনসুর আলী আকন্দের ছেলে বাবু আকন্দ, মৃত জহুরুল ইসলাম প্রামাণিকের ছেলে আপেল প্রামাণিক, মৃত আশরাফ আলী আকন্দের ছেলে সাইফুল ইসলাম আকন্দ, মৃত ইব্রাহীম আলী আকন্দের ছেলে রফিকুল ইসলাম আকন্দ, সাইফুল ইসলাম আকন্দের ছেলে হারুনুর রশিদ আকন্দ, মৃত সোলায়মান আলীর ছেলে আবুল হোসেন, আবুল হোসেন মন্ডলের ছেলে আজাদ মন্ডল, মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে ফরজ আলী, মৃত ইয়াছিন আলী আকন্দের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন, আনিছুর রহমান আকন্দের ছেলে এনামুল হক আকন্দ, মৃত ইয়াছিন আলী আকন্দের ছেলে আনিছুর রহমান আকন্দ, সাইফুল ইসলাম আকন্দের ছেলে নাঈম আকন্দ ও তাদের সহযোগিরা দলবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বারবার আমার জায়গা জবরদখল করার চেষ্টাসহ মারপিটের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। 

তাদের বাধা দিতে গেলে আমাকে, আমার মা ও বোনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত জখম-আহত করে। এ নিয়ে আদালতে ও থানায় বেশ কয়েকবার মামলা করেছি। 

এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আমাদেরকে আবারো দফায় দফায় মারপিট করে রক্তাক্ত জখম-আহত করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাতকে বিষয়টি জানালে তিনি উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার শফিকুল ইসলামকে সরেজমিনে গিয়ে উক্ত জায়গা জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

এরপর গত বছরের ৪ অক্টোবর সার্ভেয়ার শফিকুল ইসলাম সরেজমিনে গিয়ে উক্ত জায়গা জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। তারপর আমি সেখানে একটি ঘর তৈরি করি। সেই ঘর বিবাদীরা ভেঙে ফেলে দেয়। তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তারা আমাদেরকে মারপিট করে। 

এদিকে ১০ জুলাই গভীর রাতে বিবাদীরা উক্ত জায়গার সীমানা নির্ধারণী খুঁটি তুলে ফেলে দিয়ে আবারো জবরদখল করার চেষ্টা করে। আমি একজন অসহায় হতদরিদ্র মহিলা। দীর্ঘদিনে বিবাদীদের অন্যায় অত্যাচারে আমি এবং আমার পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে আসছে। 

বারবার থানা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি কিন্তু তেমন কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমি প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানসহ অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত