দেবীগঞ্জে  নিমার্ণাধীন সেতুর কাজ চলছে ধীরগতিতে জনদূভোর্গে মানুষ

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১৯:১২ |  আপডেট  : ২৪ মে ২০২৫, ০২:১৫

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার অধীন খড়খড়িয়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি সেতুর কাজ চলছে  ধীরগতিতে । দেড় বছর অতিবাহিত হলেও পুরোপুরি শেষ হয়নি পিলার নির্মাণ। ফলে বর্ষার আগে নদী পারাপারে অনিশ্চয়তা আর দুর্ভোগে রয়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের উমেষের ডাঙ্গা এলাকায় এলজিইডির অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড।জানা যায়,২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর কাজ শুরুর পর ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রারীর মধ্যে নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলেও কাঙ্খিত অগ্রগতির দেখা নেই।চারটি নির্ধারিত পিলারের মধ্যে তিনটি শেষ হলেও একটি অসম্পূর্ণ। সেতুর মূল কাঠামোর কাজ শুরুই করা যায়নি। সাইটে পড়ে থাকা নির্মাণসামগ্রীর মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। মরিচা পড়েছে রডে, মাটিযুক্ত নিম্নমানের পাথর দেখা গেছে খোলা জায়গায়।ওই এলাকার স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীরগতির পেছনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির পাশাপাশি উপজেলা প্রকৌশলী শাহরিয়ার ইসলাম শাকিলের দায়িত্বহীনতাও দায়ী।সাঁকো ভেঙে ফেলার পর থেকেই ভোগান্তিতে আছি, বলেন স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম রব্বানী। কাজ খুব ধীরে চলছে।স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথাও উঠে আসে। কলেজছাত্র মামুন ইসলাম বলেন, প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। পানি বাড়লে আর পার হওয়া যাবে না।স্থানীয় ভ্যানচালক আব্দুল হাকিম বলেন, সপ্তাহে একবার কাজ হয়, পরের দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকে। আমাদের চলাচল একেবারে কষ্টকর হয়ে উঠেছে।সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক আল আমিন খন্দকার বলেন,ঢালাইয়ের কাজে মানসম্মত ব্ল্যাক স্টোন ব্যবহার করার কথা থাকলেও এখানে ব্যবহার হচ্ছে নিম্নমানের মাটিযুক্ত পাথর। অভিযোগ জানালে এলজিইডির প্রকৌশলী হুমকি দেন। বলেছিলেন, এই এলাকায় আর কাজ করবেন না ।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আরিফ ইসলাম বলেন, আমি মাত্র ১৫ দিন আগে এখানে এসেছি। আগে কী হয়েছে জানি না। অভিযোগগুলো ঠিকাদারকে জানাব।দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল বলেন, সমস্যা নাই তো কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আকস্মিক বৃষ্টিতে অস্থায়ী সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।তবে এলাকাবাসী বর্ষার আগেই স্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ না এগোলে স্থানীয়দের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত