নন্দীগ্রামে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

  নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১০:৪৭ |  আপডেট  : ২৩ মে ২০২৫, ১৮:১৭

বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল ও কুন্দরহাটের রাজু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ২০ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার হাটুয়া, আলাইপুর ও গুন্দইল গ্রামের ১৬০জন ভুক্তভোগী। অভিযোগকারীরা সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।  

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে গরু মোটা তাজাকরণের জন্য প্রতি জনকে ১ লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়ার কথা বলে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও রাজু নামে এক ব্যক্তি সঞ্চয় বাবদ ১৬০জন সদস্যর কাছ থেকে ৬-৯ হাজার টাকা করে মোট ১৪ লাখ টাকা তুলেন। সঞ্চয়ের টাকা জমার ৯ মাস অতিবাহিত হলেও ঋণ চাইলে কোনো ঋণ দেওয়া হয় না। বিভিন্নভাবে তাদের বারবার সময় দেওয়া হয়। অবশেষে ওই সদস্যরা তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চায়। টাকা ফেরত না পেয়ে ভুক্তভোগীরা ২০ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দেন। তারা সঞ্চয়ের টাকা ফেরত পেতে ২১ মে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। পরে থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

উপজেলার গুন্দইল গ্রামের ভুক্তভোগী সদস্য জুথী রানী বলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রাজুর কাছে সঞ্চয়ের টাকা জমা দিতে বলেছিলো। তাই আমরা টাকা তুলে রাজুকে টাকা দিয়েছি। এখন আমরা ঋণ ও সঞ্চয়ের টাকা কোনোটিই পাচ্ছি না। আমরা ১৪ লাখ টাকা সঞ্চয় তুলে দিয়েছি। আমাদের টাকা ফেরত চাই।

এ বিষয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মনে হয় রাজু নামে ওই ব্যক্তি অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ওই অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত