একাধিক গ্রাহকের অভিযোগ, দেবীগঞ্জে ২১৬ লিটার ড্রাম্পে ২২৬ লিটার তেল !

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১৯:১৬ |  আপডেট  : ২৪ মে ২০২৫, ০২:১৯

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় পেট্রোল জ্বালানী তেল বিক্রিয়কালে ওজনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে উপজেলার কালীগঞ্জ প্রধানাবাদ এলাকায় অবস্থিত শাহনেওয়াজ ফিলিং স্টেশনে  গ্রাহকরা এমন অভিযোগ করেন।

একজন ভুক্তভোগী হাসান আলী জানান, তিনি একটি ড্রামে ডিজেল সংগ্রহ করেন। কিন্তু ড্রামটি ২১৬ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হলেও সেটিতে ২২৬ লিটার তেল পরিমাপ দেখায়। তখন সন্দেহ হলে কর্তব্যরত কর্মচারী ও ম্যানেজার এর মাধ্যমে পুনরায় পরিমাপ করা হলে গরমিল দেখা দেয়। পরে মেশিন রিসেট দিয়ে তেল নিলে ২১৬ লিটারে ড্রাম পূরণ হয় বলে জানান।অপর গ্রাহক আবু নাঈম লিটন ৬০ টাকার পেট্রোল সংগ্রহ করলে পরিমাপে সন্দেহ প্রকাশ করেন। পরে মেশিন রিসেট দিয়ে তেল নিলে পরিমাণে বেড়ে যায় বলে জানান।পাম্পটির ম্যানেজার দিবাকর প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে তিনি স্বীকার করেন যে এক টাকার তেল কম দেওয়া হয়েছিল এবং তাকে কর্মচারীদের গাফিলতি বলে দায় চাপান।

যদিও আরেক ভুক্তভোগী লিটন দাবি করেন, ১ টাকা নয় বরং আরো বেশি টাকার তেল কম দেওয়া হয় প্রথমে।ভুক্তভোগী দিজেন্দ্রনাথ রায় বলেন, দুই লিটার ডিজেল নেওয়ার সময় পরিমাপে কম দেওয়া হয়। অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফিলিং স্টেশনের মালিক শাহনেওয়াজ জানান, আমি এ বিষয়ে জানি না। কর্তব্যরত ম্যানেজার ও কর্মচারীরা ভালো জানে।ওই এলাকায়  ফিলিং স্টেশনগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় বছরের পর বছর এভাবেই ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর দাবি, ফিলিং স্টেশনটি সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত না করলে তা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি মনিটরিং করবে। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাবো। যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি প্রশিক্ষণে এ আছি। এখান থেকে ফিরে গিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত