স্বজনদের অভিযোগ- সপ্তাহখানেক আগে ধর্ষণ মামলা করার জের
গভীর রাতে ঝোপে মিলল যুবকের মরদেহ

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ | আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫, ১৮:২২

বরগুনায় পৌরসভার কালিবাড়ি এলাকার ঝোপ থেকে মন্টু চন্দ্র দাস (৩৫) নামে এক যুবকের কাদামাখা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি নামক স্থান থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্টু চন্দ্র দাস বরগুনা পৌরসভার করইতলা এলাকার মৃত জয়েশ্বর দাসের ছেলে। তিনি বরগুনা পৌর মুরগি বাজারের জনৈক জাকিরের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
নিহতের স্বজনদের দাবি, মামলাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়েছে তাকে। মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল তদন্তে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম।
মন্টুর স্বজন ও পুলিশের ধারণা, মঙ্গলবার রাতের কোনও একসময় মন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। এদিন রাত ১টার দিকে স্বজনরা মন্টুর মরদেহ দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহতের স্বজনরা জানান, নির্ধারিত সময়ে বাড়িতে না আসায় মন্টুর মোবাইল ফোনে কল দিলে বাড়ির পেছনে পুকুর পাড়ে মোবাইলের আওয়াজ শুনতে পান তারা। পরে সেখানে গিয়ে মন্টুর মরদেহ দেখতে পান। এ সময় মন্টুর পরনের কাপড় ছিল ভেজা, হাতে কামড়ের দাগ ও সারা শরীরে কাদা মাখা ছিল। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্বজনরা আরও জানান, সপ্তাহখানেক আগে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করে মন্টু। সেই মামলার ১ নম্বর আসামি জেলহাজতে থাকায় ওই আসামির বন্ধু ও স্বজনরা তাকে হত্যা করতে পারে।
বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মন্টুর মরদেহের সুরতহাল করেছি। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরিবার যাদের সন্দেহ করছেন সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।’
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত