৭টি বাড়ি নদীগর্ভে
কাউনিয়ায় তিস্তা নদী গিলে খাচ্ছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:২২ | আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪১

কাউনিয়া উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদী রাক্ষসী রূপ ধারন করেছে। উজানে ভারতের ছেরে দেয়া পানির ঢল ও অতিবৃষ্টিতে কাউনিয়ায় নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। বর্তমানে পানি কমতে শুরু করার সাথে সাথে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। প্রতিবছর এ অবস্থা চলতে থাকলেও ভাঙ্গন রোধে কর্তৃপক্ষ নিরব ভুমিকায়।
সরেজমিনে বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখো গেছে নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি সহ শতশত হেক্টর ফসলি জমি। হুমকির মধ্যে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসাসহ শতাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। বর্তমানে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কাউনিয়া টেপামধুপুর ইউনিয়নের চর গনাই, হরিচরণ শর্মা হাজীটারী, গ্রামের ৭টি বাড়িসহ ২৫ হেক্টর ফসলী জমি।
ভাঙনের শিকার কৃষকরা হলেন আতিকুর রহমান, আরিফুল হক, আফরোজা বেগম, ছলিম উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, মকবুল হোসেন, মনছার আলী।
এছাড়াও হরিচরণ শর্মা গ্রামে চরগনাই হয়বৎখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরগনাই জামে মসজিদ এবং নজরুল, সুলতান, দুলু, আতিয়ার, মফিজুল ও শফিকুলের বাড়ি নদী ভাঙনের ঝুকিতে রয়েছে। বর্তমানে নদী তীরবর্তী মানুষে নির্ঘুম রাত কাটছে। নদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড চরগনাই এলাকায় ১২শ এবং হরিচরণ শর্মা গ্রামে ২ হাজার জিও ব্যাগ নদীতে ফেলেছে। এতে ওই স্থানে ভাঙ্গন কিছুটা কমলেও অন্য একাধিক এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গন কবলিত একাধিক স্থানে বাঁশের বান্ডেল দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে শুকনা খাবার বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, হরিচরণ শর্মা, হয়বতখাঁ, বিশ্বনাথ গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ বরাদ্দ দিয়েছে। তিনি নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবী জানান। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল হক বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন ইতি মধ্যে চরগনাই গ্রামে ১২০০ এবং হরিচরণ শর্মা গ্রামে ভাঙন কবলিত এলাকায় ২০০০ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে এবং ১০০০ হাজার জিও ব্যাগ নদীতে ফেলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি নদীভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা।
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত