কাউনিয়ায় খরস্রোতা তিস্তায় পানি নেই শত শত নৌকার মাঝি ও মৎস্য জীবি বেকার

  সারওয়ার আলম মুকুল

প্রকাশ: ৯ মে ২০২৩, ১৭:০১ |  আপডেট  : ১ মে ২০২৪, ১৬:৩০

রংপুরের কাউনিয়ায় এক সময়ের খরস্রোতা তিস্তা নদীর পানি শুকিয়ে কংকাল সার মরা খালে পরিনত হয়েছে। নদীতে পানি না থাকায় শত শত নৌকার মাঝি ও মৎস্য জীবি বেকার হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে তিস্তা নদী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নৌকা চালিয়ে কাউনিয়া ও রাজারহাট উপজেলার শত শত মাঝি জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। সেই নদীর উজানে ভারতের গজল ডোবায় বাঁধ নির্মাণ করায় এক সময়ের খরস্রোতা তিস্তা এখন পানি শুকিয়ে মরাখালে পরিনত হয়েছে। নদীকে ঘিরে কাউনিয়ার শত শত মানুষ জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। নদীতে পানি না থাকায় কাউনিয়া থেকে রাজারহাট, কুড়িগ্রাম হয়ে চিলমারী বন্দর পর্যন্ত নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নৌকার মাঝিরা বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পাঞ্জর ভাঙ্গা গ্রামের নৌকার মাঝি জব্বার, নুরল, কাদের, জলিল, জাহেদুল এর সাথে কথা বলে জানা গেছে প্রায় চার মাস থেকে নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তখন থেকে নৌকা না চলায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সরকারী ভাবে তাদের কোন সাহায়্যে সহযোগিতা করা হয় না। অনেকে বাধ্য হয়ে বাব দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। যারা দিন মজুরীর কাজ করতে পারছেনা তারা বেশী অসহায় হয়ে পড়েছে। 

এছাড়া তিস্তা নদীকে ঘিরে শত শত মৎস্য জীবি বেকার হয়ে পড়েছে। এক সময় তিস্তা নদীর মাছ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রংপুর সহ ঢাকায় রফতানী হতো। সেই নদীতে পানি না থায়ায় আর মাছ পাওয়া যায় না। ফলে মৎস্যজীবীরা পড়েছে বিপাকে। সরকার দফায় দফায় তিস্তার পানি চুক্তি করার চেষ্ঠা করেও তা বাস্তবতার মুখ দেখছে না। কাউনিয়া এলাকার সকল নৌকার মাঝি, মৎস্য জীবি সহ সাধারন মানুষ তিস্তা নদীর হারানো অতীত ফিরিয়ে আনতে তিস্তা মাহা পরীকল্পনার বাস্তবায়ন অথবা নদী খননের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত