কর্মী নিতে সময় বাড়াচ্ছে না মালয়েশিয়া: হাইকমিশনার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৫ জুন ২০২৪, ১৬:২৬ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬

বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, তাঁর সরকার দেশটিতে কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে সময় বাড়াচ্ছে না; বরং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই থাকছে।

ঢাকার ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আজ বুধবার তাঁর কার্যালয়ে বৈঠক করেন মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটা জানান তিনি।

মালয়েশিয়ার সরকার ওই সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করবে কি না, জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়া ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নেয়। সবার ক্ষেত্রে একই সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য আলাদা করে কিছু করা হয়নি। সব দেশের জন্য একই নীতি বজায় রাখতে চায় মালয়েশিয়া।

তবে হাইকমিশনার বলেন, প্রতিমন্ত্রী সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি কুয়ালালামপুরে এ বার্তা পৌঁছে দেবেন।

মালয়েশিয়া ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নেয়। সবার ক্ষেত্রে একই সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য আলাদা করে কিছু করা হয়নি। সব দেশের জন্য একই নীতি বজায় রাখতে চায় মালয়েশিয়া।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) অভিযোগ, মালয়েশিয়া সরকার নির্ধারিত সময়সীমার পরও ২ জুন ই-ভিসা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা প্রমাণ ছাড়া কোনো অভিযোগ গ্রহণ করতে পারি না। এখন পর্যন্ত ভিসা ইস্যুকারী সংস্থাসহ পুরো মালয়েশিয়া সরকার কঠোরভাবে নির্ধারিত সময়সীমা মেনে কাজ করছে।’

মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের চাকরি না পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাজনাহ মো. হাশিম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের সরকার দেখছে। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’

বৈঠকে আলোচনা হওয়া বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে হাইকমিশনার বলেন, তাঁরা কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং কর্মীদের মঙ্গলের জন্য প্রক্রিয়ার উন্নতির প্রয়োজনীয়তা পুনর্মূল্যায়ন করেছেন।

এদিকে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, তাঁরা মালয়েশিয়া সরকারকে সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন এবং এটি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকেরা কেন মালয়েশিয়ায় যেতে পারছেন না, তা তদন্ত কমিটি দেখবে। যাঁদের বিএমইটি কার্ড বা ই-ভিসা আছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত