কমিটি ঘোষণার পরই বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, এই ঘটনায় মামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪৩ |  আপডেট  : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া (৩৫), জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক মমিন (৬০), সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন (৫৫), জেলা যুবদল নেতা আতিকুল হক জালাল (৪২), জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আজহার হোসেন চৌধুরী প্রকাশ দিদার (৪০), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোল্লা সালাউদ্দিন প্রকাশ সালাউদ্দিন (৪০), নাঈম (৩৭), রাজিব আহমেদ (৩৮), পারভেজ (৩৭) মামুন (৪০) রোমান (৪০), রাজু (২৮), জুনাক (৩০), তুহিন (৩৫), এহছান (৩৭), পাভেল মৃধা (৩৩), জুবায়ের (৩৭), তুষার (৩৮)। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (১০ই আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আব্দুল মান্নানকে আহ্বায়ক ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিুরুল হক খোকন ও নুরে আলম সিদ্দিকি।

এই কমিটি ঘোষণার পরপরই জেলা বিএনপির বড় একটি অংশ নাখোশ হয়। এরপরই কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। এরই মধ্যে ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে শনিবার বিকালে শহরের শিমরাইলকান্দি থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করেন। একই সময়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিুরুল হক খোকনের নেতৃত্বে অপর একটি গ্রুপ শহরের পাওয়ার রোডে অবস্থান নেয়।  এসময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে পাঁচ নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান কচি ও জহিরপন্থি গ্রুপের নেতাকর্মীরা সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে দায়ী করেন।

তবে আনন্দ মিছিল করার পর দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য আহ্বান জানান সিরাজুল ইসলাম। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে করে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজীব আহমেদ ও সুমন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত