‘সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও কঠোরতা প্রসঙ্গে’
প্রকাশ: ৪ মে ২০২১, ১১:০৮ | আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭
ছেলেবেলায় আমরা যখন খুব বেশি দুষ্টুমী করতাম, মায়ের শাসন মানতে চাইতাম না, তখন আমাদের বাবা মাকে বলতেন, বেত চালাও। বাঙালি বেতের আগে সোজা। কথাটি নিরর্থক ছিল না। প্রকৃতই আমরা মায়ের হাতের লাঠিকে যথেষ্ট ভয় পেতাম এবং দুষ্টুমীর লাগামটা টেনে ধরতাম। এরপর যখন স্কুলে গেলাম, তখন ছিল স্যারদের হাতের বেতের ভয়। সাপের লকলকে জিহ্বার মতো চিকন বেতের ভয়ে আগের রাতে স্কুলের সব পড়া রেডি করে যেতাম। আমাদের সময়ের যারা স্কুলছাত্র, তাদের সবারই কমবেশি বেত্রস্মৃতি আছে। স্কুলে পড়েছেন, অথচ স্যারের হাতে মার খান নি, এমন কাউকে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। বেত্রদন্ডের একটি স্মৃতি এখনও আমাকে নস্টালজিক করে তোলে। তখন আমি ক্লাস সিক্সে। ভেবেছিলাম প্রাইমারি থেকে হাই স্কুলে এসেছি, এখনে নিশ্চয়ই বেত্রশাসন থাকবে না। কিন্তু ভুলটা ভাঙল প্রথম সাময়িক পরীক্ষার পর। আমাদের অংক ক্লাস নিতেন প্রবীণ শিক্ষক ওয়াজিউল্লাহ্ স্যার। পরীক্ষার দিন তিনি ঘোষণা করলেন, ‘আমার টার্গেট নম্বর ষাট। এর নিচে যে যত কম পাবি, তার পিঠে ততটা বেত পড়বে। সবাই প্রমাদ গুণলাম। যা হোক পারীক্ষা দিলাম। যেদিন অংক খাতা দেওয়া হলো আমাদের ক্লাসে সে এক মর্মান্তিক দৃশ্য। পুরো ক্লাস জুড়ে শুধু ইস্ উহু শব্দ আর পিঠ ডলার দৃশ্য। ব্যতিক্রম শুধু ক্লাসের ফার্স্টবয় শফিকুল ইসলাম লস্কর (সম্প্রতি সরকারের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত, বর্তমানে রূপালী ব্যাংকের পরিচালক)। ওর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৭৫। চুপে চুপে বলে রাখি, সেদিন আমিও বেত্রাঘাত থেকে রেহাই পাইনি। আমার ভাগে পড়েছিল দুটি বেত। কারণ আমি পেয়েছিলাম ৫৮। মুরব্বীরা অনেকেই বলেন, যেদিন থেকে আমাদের স্কুলগুলোতে বেত তুলে দেওয়া হয়েছে, শিক্ষার মানের অধোগতি সেদিন থেকেই শুরু হয়েছে। এখন ছাত্রদর বেতমারা দূরের কথা, শিক্ষকরা বেত হাতে নিয়ে ক্লাস যাওয়াই নিষিদ্ধ।
তবে, স্কুলে বেত নিষিদ্ধ হলও এর প্রয়োজনীয়তা যে একেবারে ফুরিয়ে যায়নি, তা মাঝেমধ্যেই নানা ঘটনায় প্রতিভাত হয়ে ওঠে। রাজপথে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছাত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। বেশিরভাগ সময়ই এ ‘লাঠি থেরাপি’ বেশ ভাল কাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে লকডাউনকে কার্যকর করার জন্য অনেকেই এই লাঠি থেরাপির কথা বলেছিলেন। কিন্তু সার্বিক দিক বিবেচনায় সরকার হয়তো সেপথে যায় নি। তবে শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করার জন্য এবার এই বেত্রদন্ডের ব্যবহারে করতে যাচ্ছে সরকার। গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রতিদিন সে রকম খবরেই দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘরের বাইরে মাস্ক না পরলে কঠোর আইনি ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে পুলিশকে পেটানোর ক্ষমতাও দেওয়া হচ্ছে। আর সেটি আইনি কাঠামোর মধ্যেও নিয়ে আসা হচ্ছে। আগের দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে বলা হয়, সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সবাইকে ঘরের বাইরে মুখে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বহু পরামর্শ দেওয়া হলেও এক শ্রেণির মানুষ তা ধর্তব্যের মধ্যে আনছে না। তাই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর হওয়া ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার পর এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে শাস্তি হিসেবে বেতের বাড়িকে অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে।
খবরটি কারো কারো কাছে অভিনব বা বিসদৃশ মনে হতে পরে। কিন্ত সচেতন ব্যক্তিরা সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন। কেননা বৃহত্তর জনগোষ্ঠিকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে কখনো কখনো এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়ে। আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং তার বাস্তবায়ন ব্যতীত যে কার্যসফলতা সম্ভব নয় তা তো নতুন করে বলার দরকার পরে না।
এটাতো পুনর্বার বলার প্রয়োজন পড়েনা, সময়টা মোটেও ভাল নয়। করোনার ভয়াবহতা সবকিছু গ্রাস করত উদ্যত। ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবন সবকিছুই করোনার থাবায় তছনছ হতে বসেছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই, শান্তি নেই। নিরাপত্তা আজ উধাও হতে বসেছে। সরকার বারবার সতর্ক করছে করোনা মহামারীর সংক্রমণ থেকে বাচাঁর জন্য সবাইকে সচেতন হতে। কিন্তু সরকারের সে সতর্কবাণীতে কেউ কর্ণপাত করছে এমনটি মনে হচ্ছে না। স্ব্স্থ্যা বিশেষজ্ঞগণ বলছেন চলাফরায় সংযত হতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। কিন্তু যাদের উদ্দেশে এতসব বিধিনিষেধ, এতসব সতর্কবাণী, তারা রয়েছেন নির্বিকার। করোনা যে একটি প্রাণঘাতি ভাইরাস তা যেন কাউকে বিশ্বাসই করানো যাচ্ছে না। দিন যত যাচ্ছে অবস্থার উন্নতি হওয়ার পরিবর্তে আরো অবনতি হচ্ছে।
পত্র-পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কোনো সিট খালি নেই। আইসিইউ তো চিন্তাই করা যায় না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, আইসিইউ থেকে একজন সুস্থ হয়ে বা লাশ হয়ে বেরিয়ে না গেলে সিট খালি হয় না। আর আইসিইউ বেডের অপেক্ষায় থেকে থেকে পথে বা হাসপাতালের বারান্দায় অনেকের করুণ মৃত্যুর খবরও আমরা প্রতিনিয়ত সংবাদ মাধ্যম মারফত পাচ্ছি।
মানুষ তো মরবেই। কিন্তু সে মৃত্যু যেন হয় স্বাভাবিক, স্বজনদের চোখের সামনে- এটাই আমরা চাই। যিনি মৃত্যুবরণ করেন, তিনিও চিরবিদায়ের বেলায় দেখে যেতে চান তার স্বজনরা ঘিরে আছে চারপাশ। তাদের অশ্রুসজল নয়নে বিদায় সম্ভাষণ সবারই কাম্য। কিন্তু করোনা আজ সে মৃত্যুকে করে তুলেছে ভয়ংকর। যে মানুষটি হাসপাতালের বেডে অক্সিজেনের অভাবে কিংবা আইসিইউতে জীবনের শেষ নিঃশ্বাসটি ত্যাগ করছে, সে তার চারপাশে আত্মীয় স্বজন কাউকে দেখতে পাচ্ছে না। কোনো ¯েœহার্দ্র কোমল হাত তার ললাট স্পর্শ করে পাঠ করছে না দোয়া-দরূদ। এ এক বিভীষিকাময় মৃত্যুযজ্ঞ যেন গ্রাস করেছে গোটা পৃথিবীকে। এখানে এখন মৃত্যু এক অভিসম্পাতের নাম। বেঁচে থাকা হয়ে পড়েছে সুকঠিন।
করোনার প্রথম ঢেউটা কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসার পরই আমরা কেমন যেন বাঁধনহারা হয়ে উঠেছিলাম। আমাদের হাবভাবে মনে হচ্ছিল করোনা নামের বৈশ্বিক মহামারীটি বুঝিবা উধাও হরয়ে গেছে। কুচ পরোয়া নেহি মানোভাব নিয়ে আমরা প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করে দিয়েছিলাম। কিন্তু রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ তখনই সাবধান করে বলেছিলেন, আমরা যদি সংযত না হই, তাহলে করোনা তার ভয়াল থাবার বিস্তার আবারও ঘটাতে পারে। কিন্তু আমরা সংযত হইনি। বরং দ্বিগুণ উৎসাহে স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ি। এখন তার প্রতিফল পাচ্ছি। করোনা তার ভয়াল থাবা বিস্তার করে ছাড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে। প্রথমে এক সপ্তাহের, পরে তা আরো দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তা কার্যকর হয়েছে, এমন দাবি করা যাবে না। সর্বাত্মক শব্দটির অর্থ নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে এখ ধরনের বিভ্রান্তি। সর্বাত্মক শব্দটি সাধারণত ব্যবহার হয় যখন কোনো কাজকে অত্যন্ত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ বা পালন করা হয়। কিন্তু এবারের তিনদফার সর্বাত্মক লকডাউনে তার চিহ্নমাত্র নেই। শুরুতই লকডাউনের আওতামুক্ত ছিল পোশাক কারখানাসমূহ। তারপর দোকানদারদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলে দিতে হলো শপিংমল ও মার্কেট। সবকিছুই খেলা। রাস্তায় বাস-মিনিবাস ছাড়া সব যানবাহনই চলছে। রাস্তায় বেরুলে জনজীবনের অস্বাভাবিকতার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ বলা হচ্ছে- ‘সর্বাত্মক লকডাউন চলছে’। লকডাউন এখন মানুষের কাছে হাসি-ঠাট্টার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে নানা ধরনের ট্রলিং। কেউ কেউ এই লকডাউনকে তুলনা করছেন বেড়াহীন ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে রাখার সাথে।
অন্যদিকে ভয়াবহ দুঃসংবাদ হলো করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সংকটে পড়েছে দেশ। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে সংবাদটি সঙ্গত কারণেই আতংকগ্রস্ত করে তুলেছে সবাইকে। গত ২৫ এপ্রিলের বাংলাদেশের খবর ‘ফুরিয়ে আসছে টিকার মজুত’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশে যে হারে টিকা দেওয়া হচ্ছে, তাতে আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে মজুত ফুরিয়ে যাবে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর গত ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬১ জন টিকা নিয়েছেন। আর ভারত থেকে টিবকা এসেছে ১ কোটি দুই লাখ ডোজ। সে হিসাবে এখন মজুত আছে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ। এদিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তাদের উৎপাদিত টিকা সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে গেল সপ্তাহে। ভারতের এ ঘোষণায় বংলাদেশের উদ্বেগ আরো বেড়েছে। ভারতের এ ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন টিকার আমদানিকারক বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন এমপি। তিনি বলেছেন, ‘দয়া নয়, ভারতের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়ে কেনা টিকা চাইছে বাংলাদেশ’। তিনি বলেছেন, আমরা তিন কোটি চল্লিশ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়েছি। এ পর্যন্ত আমরা টাকায় কেনা ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছি। বাকি টিকা দ্রুত দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। নাজমুল হাসান পাপন বলেন, সঠিক সময়ে টিকা না দিলে সরকারকে অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি টিকার বিষয়ে সরকারের কঠোর ভাষায় কথা বলতে হবে বলেও মন্তব্য করেন।
এদিকে টিকা সংকটজনিত কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে সরকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তবে যারা ইতোপূর্ব প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন। প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধের এ সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই দেশের সব জেলার সিভিল সার্জন, সিটি কর্পোরেশন সমূহের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সব উজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, গত ২৮ এপ্রিলর পত্রিকার খবরে আশার আলো কিছুটা জ্বলে উঠেছে। খবরে বলা হয়েছে, ভারতের ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে বাংলাদেশে টিকা দান কর্মসূচি নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল, আপাতত তার সমাধান হয়েছে। রাশিয়ার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং মে মাসেই সেখান থেকে ৪০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। পাশাপাশি চীন থেকেও ভ্যাকসিন আনার প্রস্তুতি চলছে। সব মিলিয়ে আমরা একটি চরম সংকটময় সময় অতিক্রম করছি। এই সময়ে সবার উচিত সরকারের সঙ্গে সহযাগিতা করা। বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে জনগণের সামনে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরাই যৌক্তিক।
কথা শুরু করেছিলাম বেত্রাঘাত নিয়ে। বেত্রদন্ড যে অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে সে কথা আগেই বলেছি। কেউ কেউ রাস্তায় পুলিশের লাঠিপেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। কেউ আরো আগ বাড়িয়ে মানবাধিকারের কথাও তুলতে পরেন। আবার অনেকে লাঠির অপব্যবহারের আশংকাও ব্যক্ত করতে পারেন। তবে সবার উপরে জনস্বাার্থ। সে সাথে জনস্বাস্থ্যও। জনস্বান্থ্যকে শংকামুক্ত রাখতে সরকার যদি আক্ষরিক অর্থেই কঠোর অবস্থানে যায়, তাতে আপত্তি জানানো বোধকরি সুবিবেচনাপ্রসূত হবে না। জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে যখন সব প্রচেষ্টাই কার্যত ব্যর্খ হচ্ছে, তখন লাঠিথেরাপির ব্যবহার করেই না হয় শেষ চেষ্টাটা করা হোক।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।
সৌজন্যে : বাংলাদেশের খবর
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত