সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনী
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:২৯ | আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লবণখনি সমৃদ্ধ শহর সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনী। তবে এখনো লড়াই অব্যাহত রয়েছে। অবশ্য এর আগে ইউক্রেন দাবি করেছে, তাদের বাহিনী অবস্থান ধরে রেখেছে। এতে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অস্পষ্টতার সৃষ্টি হয়েছে। খবর রয়টার্সের
পার্শ্ববর্তী কৌশলগত শহর বাখমুত ও ইউক্রেনের বৃহত্তর পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চল দখলে নেওয়ার জন্য সোলেদারের নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে রাশিয়া। এ জন্য শহরটি ঘিরে তুমুল লড়াই চলছে। শহরটি এখন মূলত কারা নিয়ন্ত্রণ করছে, তা যাচাই করে দেখতে পারেনি রয়টার্স।
ওয়াগনার বাহিনী ভাড়াটে সেনাদের নিয়ে গঠিত। ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত।
রুশ বাহিনীর হামলার পর ইউক্রেনের সোলেদার শহরে বিভিন্ন ভবন থেকে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
ইয়েভজেনিকে উদ্ধৃত করে রুশ বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, ওয়াগনার সেনারা সোলেদারের পুরো ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। শহরের কেন্দ্রস্থলে অনিশ্চিত এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে এখনো লড়াই চলছে।
ওয়াগনারপ্রধান বলেন, যুদ্ধবন্দীর সংখ্যা আগামীকাল ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। রাশিয়ার জন্য সোলেদার ও শহরটির বিপুল লবণখনির নিয়ন্ত্রণের প্রতীকী, সামরিক ও বাণিজ্যিক মূল্য আছে। তবে সোলেদার ও আশপাশের পরিস্থিতি ঘোলাটে বলেই মনে হচ্ছে।
এর আগে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, চার দিন ধরে অগ্রসর হওয়ার পর রুশ সেনা ও ওয়াগনার যোদ্ধারা সোলেদারের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
তবে সোলেদারের কেন্দ্রে লড়াই অব্যাহত থাকা নিয়ে ওয়াগনারপ্রধানের মন্তব্যে বোঝা যায়, শহরটি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি রাশিয়া। যদিও তাঁর বক্তব্যে বলা হয়েছে, গোটা শহর ওয়াগনারের কবজায় রয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ হামলার পর ইউক্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক নাগরিকেরা নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেন, শহরটি নিয়ন্ত্রণে এখনো লড়াই চলছে। তিনি বলেন, নিজেদের বিপুলসংখ্যক সেনার প্রাণহানিকে উপেক্ষা করে শত্রুরা ব্যাপক হামলা অব্যাহত রেখেছে।
মালিয়ার আরও বলেন, ‘আমাদের অবস্থানের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথগুলোতে কেবলই শত্রু যোদ্ধাদের মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। আমাদের যোদ্ধারা সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ করে চলেছেন।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত