সুন্দরবনে মধু আহরণের পাস বন্ধ, হরিণ শিকার করছে মৌয়ালেরা
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২২, ১৪:৫৭ | আপডেট : ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮
পূর্ব সুন্দরবনে মধুর আহরণের ভরা মৌসুমে পাস দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বন বিভাগ। মৌয়ালেরা বনে হরিণ শিকার করেন এমন অভিযোগে বন বিভাগের এই সিদ্ধান্ত। জানা গেছে, সাধারণত ৩০ মে পর্যন্ত সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম থাকে।
এ নিয়ে শরণখোলার সোনাতলা গ্রামের মৌয়াল নূর ইসলাম, বগী গ্রামের মাহবুব হাওলাদার, চালিতাবুনিয়া গ্রামের মৌয়াল মোতালেব হাওলাদার উত্তর সাউথখালী গ্রামের রফিকুল ইসলাম, বকুলতলা গ্রামের হাকিম হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন মৌয়ালের কথা হয়। তাঁরা ক্ষোভ ও হতাশার সঙ্গে জানান, গত ১ এপ্রিল বন বিভাগ সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের পাস দেয়। এ বছর সুন্দরবনে মধুর সংকট দেখা দিয়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে মৌয়ালরা অল্প পরিমাণে মধু পেয়েছে। এরপরও পাস পেলে মৌসুমের পুরোটা সময় বনে বনে ঘুরে আরও কিছু মধু সংগ্রহ করা যেতো। কিন্তু বন বিভাগ হঠাৎ করে গত ২৯ এপ্রিল থেকে পাস বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে মৌয়ালদের লোকসানের বোঝা আরও বেড়েছে বলে জানান মৌয়ালরা।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মৌসুম শেষের আগেই মধুর পাস দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। এ বছর এ পর্যন্ত শরণখোলা রেঞ্জে ৪৬৩ কুইন্টাল বা ৫১ টন মধু ও ১৩৯ কুইন্টাল বা ১৫ টন মোম আহরিত হয়েছে। এতে বন বিভাগের রাজস্ব আয় হয়েছে ১২ লাখ ৪ হাজার ৬৩৬ টাকা। এ বছর সুন্দরবনে মৌমাছি আগের মতো চাক বানায়নি। তাই মৌয়ালেরা মধু কম পেয়েছেন বলে জানান এই স্টেশন কর্মকর্তা।
পাস বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘মৌয়ালেরা মধুর পাস নিয়ে হরিণ শিকার করেন। সম্প্রতি চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকা থেকে হরিণ ধরার ফাঁদসহ আট মৌয়ালকে আটক করা হয়। মৌয়ালেরা যাতে হরিণ শিকার করতে না পারে সে লক্ষ্যে সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের পাস না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত