শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু বাংলাদেশের  

  ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৪ |  আপডেট  : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:০৮

বিশ্বকাপের মূল অভিযানের আগে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। আসামের গোহাটিতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কানরা থামে ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ রান করে। ২৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটন দাস ও তানজিদ তামিমের বিধ্বংসী জুটিতে ৪৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এই জয়ে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপ মাতাবে সাকিব-মুশফিকরা।

শুক্রবার আসামের গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ খেলেছেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। ৩৯ বলে অর্ধশতক পেয়েছেন লিটন, ৫৩ বলে ফিফটি করেন তানজিদ। লিটন ৬১ রান করে আউট হন। তার বিদায়ে ভাঙে তানজিদের সঙ্গে ১৩১ রানের জুটি। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ে আউট হন তানজিদ। ৮৮ বলে ১০ চার, ২ ছয়ে ৮৪ রানে থামেন তিনি।

তানজিদের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে মিরাজকে সঙ্গ দিতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। গোল্ডেন ডাককে সঙ্গী করে দুনিথ ওয়েল্লাগের বলে কট বিহাইন্ড হয়েছেন তিনি। বাকি কাজটা মুশফিককে নিয়ে সেরে নিয়েছেন মিরাজ। চতুর্থ উইকেটে ৭৬ রানের জুটি গড়ার পথে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। ৬৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি।

তার আগে ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩২ রান খরচায় ১ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মিরাজ। সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে ব্যাটে-বলে পারফরম্যান্স করে দলকে জিতিয়ে যোগ্য নেতৃত্বের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি।

এর আগে, টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা হয় দুর্দান্ত। দুই ওপেনার কুশল পেরেরা ও পাথুম নিসাঙ্কা গড়েন ৬৪ রানের জুটি। এরপর কাঁধে অস্বস্তি বোধ করায় মাঠ ছাড়েন পেরেরা। তাতে কিছুটা স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। তবে নিসাঙ্কার সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলাদশের হতাশা বাড়াতে থাকেন কুশল মেন্ডিস। ৪০ রানের জুটিও গড়েন। তাতে বিনা উইকেটে লঙ্কানদের রান তখন ১০৪।এরপর মেন্ডিসকে ফিরিয়ে লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। এক ওভার পর বল হাতে নিয়ে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে তুলে নেন শেখ মেহেদী হাসান।

দলীয় ১৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে লঙ্কানরা। এরপর দিমুথ করুনারত্নেকে নিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা চালান ধনাঞ্জয়া। ৪১ রানের জুটিও গড়েন এ দুই ব্যাটার। তবে করুনারাত্নেকে রানআউট করে এ জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর খুব বেশি আগাতে পারেনি দলটি। এক প্রান্তে লড়াই করে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন ধনাঞ্জয়া।

৯ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মাহেদী হাসান। সবচেয়ে বেশি ১০ ওভার করা মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত