মরিচ ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত  পঞ্চগড়ে বৃষ্টির অপেক্ষায় কৃষক 

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২ মে ২০২৪, ১৯:২০ |  আপডেট  : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫

কদিন ধরেই খরতাপে হাসফাস ছিল জনজীবন। দিনের বেলা রোদের তাপ ছিল অনেকটাই অসহনীয়। কিন্তু হঠাৎ করেই বুধবার রাতে গরম কিছুটা কম অনুভূত হয়। বৃষ্টি নেই ‘তবে গাছের পাতায় বাতাসের নড়াচড়ায় স্বস্তি পাওয়া যায়।

দেশের অন্যান্য জেলার মতো পঞ্চগড়েও তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। প্রায় দশদিন ধরে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই হতে থাকে। নদী মাতৃক পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়ায় জনজীবন কষ্ট দায়ক হয়ে পড়ে।মাঠ-প্রান্তর শুকিয়ে গিয়ে স্বাভাবিক পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

এদিকে তেতঁলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায় পঞ্চগড় জেলায় সর্বশেষ বৃষ্টি হয়েছে গত বছরের অক্টোবরে। এরপর বৃষ্টিপাত হয়নি। বৃহষ্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বুধবার ছিল ৩৮দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৫ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৯ এপ্রিল ছিল ৩৭ দশমিক ৮ডিগ্রি সেরসিয়াস। ২৮ এপ্রিল ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৬ এপ্রিল তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর উপড়ে তাপমাত্রার পারদ দেখা যায়নি।

তবে এমন খরায় বেশি ক্ষতগ্রিস্ত হয়েছে চা বাগানের। এছাড়া মরিচ ক্ষেত শসা, করলা, বেগুন , লাউ সহ সব ধরনের কাঁচা সবজির উৎপাদন ব্যহত হতে পারে যদি দ্রুত বৃষ্টিপাত না হয় এমনটাই বলেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল মতিন জানান, এই খরা অব্যাহত থাকলে বিশেষ করে মরিচের ক্ষতি হবে। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর নীচে নেমে গেছে। ক্যানেল গুলো শুকিয়ে গেছে। কৃষক তার জমিতে সেচ দিতে পারছেনা। তবে সব জায়গায় নয় কিছু কিছু জায়গায়। কৃষকরা আকাশের পানির দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু কিছু ফসল আছে ‘ যেগুলোর শিকড় সেব সব ফসলে পানি লাগে।

এদিকে তেতুঁলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, মে মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে বৃষ্টিপাত হবে। এই বৃষ্টিপাত হলেই তাপমাত্রা কমবে। আর পঞ্চগড়ে রাতে তো এমনিতেই একটু শীত আছে। তব্ েবৃষ্টিপাত হলেও পুরো মে মাস জুড়ে এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত