শিবচরে বৃদ্ধাকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

  এসআর শফিক স্বপন, মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩১ |  আপডেট  : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩২

মাদারীপুর জেলার শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা এলাকায় রানু বেগম[৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে নির্জন ঘরে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদারীপুর র‌্যাব ৮। বৃহস্পতিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর চর কান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম রাসেল মাহমুদ সবুজ[৩০)। তিনি ঢাকার শেওড়াপাড়া এলাকার মৃত কাজী কেরামত আলীর ছেলে। তিনি বৃদ্ধা রানু বেগমের ঘরের একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার[২৬ সেপ্টেম্বর) র‌্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

র‌্যাব জানিয়েছে, গত ৯ মাস পূর্বে রাসেল মাহমুদ ওরফে সবুজ বৃদ্ধা রানু বেগমের ঘরের একটি কক্ষ ভাড়া নেন। এরপর পর একবার রানু বেগমের ঘরে চুরির ঘটনা ঘটলে ভাড়াটিয়া রাসেলকে সন্দেহ করতে শুরু করেন রানু বেগম। এক পর্যায়ে এ নিয়ে মনমালিন্যের সৃষ্টি হয় উভয়ের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে রাসেল মাহমুদ এর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। 

এই ক্ষোভ থেকেই গত ২১ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে নিহতের ঘরের রান্না ঘরে গিয়ে অবস্থান নেয় রাসেল। পরে সুযোগ বুঝে সকালের দিকে রানু বেগমের শয়ন কক্ষে ঢুকে ধারালো কাঁচি দিয়ে হাতে ও গলায় আঘাত করে হত্যা করে রানু বেগমকে। এসময় ঘরে থাকা দুটি মোবাইল ফোন, কানের দুল, রাইস কুকার, কাপড়-চোপড়সহ কিছু নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যায় সে। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য দেন হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত রাসেল মাহমুদ। এছাড়াও চুরিকৃত কানের দুল ও একটি মোবাইল ফোন ইতোমধ্যে বিক্রিও করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত সোমবার[২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা এলাকায় নিজ ঘর থেকে রানু বেগম নামের ওই মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রানু বেগম ওই এলাকার মৃত সাদেক হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি ঘরে একা থাকতেন। তার এক ছেলে চাকুরির সুবাধে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকতো। ঘটনার দিন সকালে ফোনে তার মাকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানালে তারা এসে বাইরে থেকে ঘর তালাবদ্ধ দেখেন এবং জানালা দিয়ে রানু বেগমের রক্তাক্ত নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পু্লিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে খোকন হাওলাদার বাদী হয়ে শিবচর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেন।

মাদারীপুর র‌্যাব ৮ এর কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন জানান,'মামলার পরই র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকান্ডে জড়িতকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হই আমরা। এসময় নিহতের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি তীব্র ক্ষোভ থেকে হত্যা সংঘটিত হয়েছে বলে জানা যায়। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত