নন্দীগ্রামে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নাড়ু-মুড়কি তৈরিতে ব্যস্ত সনাতনী গৃহবধূরা

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৪ | আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৯

শরৎকালের শুভ্রতা মনে করে দেয় বিপদনাশিনী দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। দুদিন বাদেই শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ পূজা উপলক্ষ্যে বাড়িতে বাড়িতে নাড়ু, মোয়া ও মুড়কি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতনী গৃহবধূরা। নিজেদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ ছাড়াও রঙ তুলির নিপুণ আঁচড়ে দেবী দুর্গাকে সুন্দর করে তুলছেন শিল্পীরা। নানা রঙে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজছে মন্ডপগুলো। মন্ডপে মন্ডপে এখন চলছে উৎসবের জোর প্রস্তুতি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখার নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, এ বছর নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৪৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুর্গা দেবীর বিসর্জনের মধ্যদিয়ে এ উৎসব শেষ হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুকুমার চন্দ্র সরকার বলেন, এবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৪৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজার সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
নন্দীগ্রাম কলেজপাড়ার গৃহবধূ রুম্পা রানী দাস বলেন, দুর্গাপূজা আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসব ঘিরে প্রতিটি পরিবারে বিভিন্ন ধরনের নাড়ু, মোয়া ও মুড়কি তৈরি করা হয়। আমাদের সমাজে এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমি প্রতিবেশীদের নিয়ে নাড়ু, মোয়া ও মুড়কি তৈরির কাজ শেষ করলাম। আমি তিলের নাড়ু, দুুই ধরনের নারিকেলের নাড়ু, গঙ্গাজলী নাড়ু, মুড়ির মোয়া, চিড়ার মোয়া, চানাচুরের মোয়া, দুধের নাড়ু ও মুড়কি তৈরি করেছি।
প্রতিমা তৈরির কারিগর মনোরঞ্জণ মালাকার বলেন, আমি এই বছর ৬টি দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরি করেছি। এখন রঙের কাজ চলছে। প্রতিমা তৈরিতে যে জিনিসপত্র লাগে তার দাম বেশি। তাই খুব বেশি লাভ হয় না।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফাইম উদ্দিন বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ডপের গুরুত্ব বুঝে পুরুষ ও মহিলা পুলিশ সদস্যরা প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে। এ ছাড়া তিন থেকে আটজন করে আনসার সদস্য প্রতিটি মণ্ডপে মোতায়েন থাকবে। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পুলিশ সদস্যরা টহলে থাকবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত